উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে জাল দলিলের মাধ্যমে কিছু লোক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা অবৈধভাবে গ্রহণ করেছে। এই পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কোতোয়ালি নগর ও থানা রাজপুর এলাকায় দুটি পৃথক মামলায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জেলা সরবরাহ আধিকারিক এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে কিছু লোক মিথ্যা আয়-সংক্রান্ত প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য নথিপত্রের আশ্রয় নিয়ে ইডব্লিউএস (অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণি)-এর অধীনে রেশন কার্ড তৈরি করেছে, যেখানে তাদের বার্ষিক আয় ছিল ₹৫ লক্ষের বেশি। শুধু তাই নয়, সেই কার্ডগুলির ভিত্তিতে তারা আয়ুষ্মান ভারতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সুবিধাও নিয়েছে।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত
সরবরাহ বিভাগের তদন্তে এই জালিয়াতির পর্দা উন্মোচিত হয়েছে। জানা গেছে, এই জাল কার্ডধারীরা ভর্তুকিযুক্ত রেশন এবং সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলির অবৈধ সুযোগ নিয়েছে, যার ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তদন্তে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে, অনেক রেশন কার্ড জাল দলিলের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল। বিভাগ এই প্রতারণাকে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহারের ফলে কেবল সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তা নয়, জনস্বার্থে তৈরি প্রকল্পগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রী ধামীর স্পষ্ট নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এই পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করে বলেছেন যে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিদের কাছেই পৌঁছানো উচিত। তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, জালিয়াতি করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে সরকারের লক্ষ্য হল রাজ্যের গরিব, বঞ্চিত ও প্রয়োজনীয় নাগরিকদের প্রকল্পের সম্পূর্ণ সুবিধা প্রদান করা এবং কোনো পর্যায়েই প্রতারণার কোনো সুযোগ না রাখা।
সরকার আরও স্পষ্ট করেছে যে, শুধুমাত্র সেই সমস্ত ব্যক্তিদেরই ইডব্লিউএস শ্রেণিতে রেশন কার্ড দেওয়া হবে, যাদের বার্ষিক আয় ₹৫ লক্ষের কম। এই লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে প্রকল্পের অপব্যবহার সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা যায়।