Vitamin D Sunlight Timing: শীতের হালকা রোদ কেবল আরামই দেয় না, শরীরকে জোগায় জীবনীশক্তিও। চিকিৎসক অজয় কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের আলো গায়ে মেখে বসলে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি হয়। এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, হাড় মজবুত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তবে রোদে বসারও সঠিক নিয়ম রয়েছে—তা না জানলে যতই বসুন, শরীর ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারে না।

রোদেই মেলে ভিটামিন ডি-র প্রাকৃতিক উৎস
শীতের সকালবেলা সূর্যের কোমল আলো শরীরের জন্য এক অপূর্ব উপহার। এই সময়ের রশ্মিতে থাকা ইউভি-বি তরঙ্গ ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন ডি কেবল হাড় ও দাঁতের জন্যই নয়, এটি বার্ধক্য বিলম্বিত করতেও ভূমিকা রাখে।

কখন রোদে বসা সবচেয়ে উপকারী?
চিকিৎসকদের মতে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়টাই রোদে বসার সবচেয়ে সঠিক সময়। এই সময় সূর্যের নীল রশ্মি ত্বকে সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং শরীরে দ্রুত ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। শীতকালে প্রতিদিন ২০–৩০ মিনিট রোদে বসলে শরীরের ভিটামিন ডি-র ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়।
পোশাক ও অবস্থানেও থাকতে হবে সচেতনতা
অনেকেই শীতে ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার পরে রোদে বসেন, ফলে ত্বকে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য হাত-পা কিছুটা খোলা রাখা প্রয়োজন। তবে মুখ ও চোখকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হালকা সানস্ক্রিন বা চশমা ব্যবহার করতে পারেন, যাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

খাবার থেকেও পাওয়া যায় ভিটামিন ডি
রোদ ছাড়াও কিছু খাবার শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। দুধ, পনির, ডিম, মাছ, এবং সবুজ শাকসবজি ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস। যারা নন-ভেজ খান, তাঁরা মাছ—বিশেষত স্যামন বা সার্ডিন—খেলে ভালো ফল পাবেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী রোদ
রোদে বসলে শরীরে সেরোটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক প্রশান্তি আনে। এতে ঘুম ভালো হয়, মুড ভালো থাকে এবং স্ট্রেস কমে। নিয়মিত রোদ পোহালে শরীর যেমন চাঙ্গা থাকে, মনও থাকে উজ্জ্বল।

শীতকাল মানেই নরম রোদ আর শরীরে ভিটামিন ডি শোষণের আদর্শ সময়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে রোদে বসা সবচেয়ে উপকারী। এতে হাড় মজবুত হয়, শরীর পায় শক্তি, আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে—সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে এই সূর্যালোক।













