১৩ হাজার শতায়ুর নাম ভোটার তালিকায় : পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় বিস্ময়কর তথ্য উঠে এসেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার ভোটার, যাঁদের বয়স ১০০ বা তারও বেশি। কারও বয়স ১০০, কারও ১০৬, আবার কোথাও ১১৪ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন তালিকায়। নির্বাচন কমিশন এবার খতিয়ে দেখতে চাইছে—এই শতায়ুরা সত্যিই জীবিত কি না।
কলকাতা থেকে কোচবিহার, সর্বত্র শতায়ু ভোটার
তালিকা বলছে, কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, ঝাড়গ্রামসহ একাধিক জেলায় শতায়ু ভোটারের খোঁজ মিলেছে। কোচবিহারের শীতলখুচি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে নাকি ১১৪ বছরের ভোটারও রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইআরও–দের দায়িত্বে সরেজমিন যাচাই
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও)। তাঁদের প্রত্যেককে শতায়ু ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে হবে এবং লিখিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এমনকি জীবিত ভোটারের স্বাক্ষর–সহ প্রমাণও সংগ্রহ করতে হবে।
মৃত শতায়ুর সংখ্যাও কম নয়
কমিশনের প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, ভোটার তালিকায় থাকা প্রায় আড়াই হাজার শতায়ু আসলে মৃত। অনেকের মৃত্যু ঘটেছে কয়েক বছর আগেই, কিন্তু নাম এখনো তালিকায় থেকে গিয়েছে। ইআরও–দের মতে, চূড়ান্ত যাচাইয়ের পর এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আগে পদক্ষেপ
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (সার) শুরু হওয়ার আগেই শতায়ু ভোটারদের বিষয়ে সঠিক তথ্য হাতে চাই। তাই প্রতিটি ইআরও–কে সরেজমিনে যাচাই করেই চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এরপরেই সেই রিপোর্ট মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে সরাসরি কমিশনে পাঠানো হবে।
ভোটার তালিকা সংস্কারে কড়াকড়ি: বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে, মৃত বা অপ্রাসঙ্গিক নাম ভোটার তালিকায় রয়ে যাচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কমিশন পরিষ্কার করছে যে ভোটার তালিকাকে আরও নির্ভুল করা তাদের অগ্রাধিকার। শতায়ুদের যাচাই প্রক্রিয়া সেই কড়াকড়িরই একটি বড় পদক্ষেপ।