যমুনা দূষণ: দিল্লি হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপ, রিপোর্ট তলব

যমুনা দূষণ: দিল্লি হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপ, রিপোর্ট তলব

দিল্লি হাইকোর্ট যমুনা নদীতে অপরিশোধিত (ট্রিটমেন্ট) দূষিত জল ফেলা নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে। আদালত দিল্লি জল বোর্ড (ডিজেবি) এবং দিল্লি নগর নিগমকে (এমসিডি) তীব্র ভর্ৎসনা করে নির্দেশ দিয়েছে যে, উভয় সংস্থা ৭ই আগস্টের মধ্যে একটি যৌথ বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত অ্যাকশন প্ল্যান এবং রিপোর্ট পেশ করবে। আদালত যমুনায় ক্রমবর্ধমান দূষণকে "গুরুতর উদ্বেগের" বিষয় উল্লেখ করে বলেছে যে, এখন ठोस পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।

উল্লেখযোগ্য যে, হাইকোর্ট ২০২২ সাল থেকে যমুনায় দূষণের মামলাগুলির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে। এখন আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি সময় মতো কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

২০২২ সালে প্রকাশিত খবর থেকে শুরু হয়েছিল শুনানি

এই মামলাটি শুরু হয়েছিল যখন ২০২২ সালে একটি পত্রিকায় দিল্লিতে জলমগ্নতা এবং বৃষ্টির জল ব্যবস্থাপনার গুরুতর ত্রুটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদনে রাজধানীর বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা এবং নর্দমা ব্যবস্থাপনাকে তুলে ধরা হয়েছিল। এই ভিত্তির উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে এবং এটিকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে শুনানির জন্য গ্রহণ করে।

মামলার সাম্প্রতিক শুনানির সময় বিচারপতি প্রতিভা এম. সিং এবং বিচারপতি মনमीत প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চ একটি বিশেষ কমিটির রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেন, যারা সিवेज ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (এসটিপি) অবস্থা খতিয়ে দেখছিলেন। রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে যে, রাজধানীতে আজও প্রচুর পরিমাণে অপরিশোধিত দূষিত জল সরাসরি যমুনা নদীতে ফেলা হচ্ছে।

এসটিপি-র খারাপ অবস্থা নিয়ে আদালত ক্ষুব্ধ

আদালতে দাখিল করা রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে মোট ৩৭টি সিভেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে, কিন্তু এদের মধ্যে অনেকগুলোই হয় পুরো ক্ষমতা দিয়ে চলছে না, অথবা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সঠিকভাবে কাজ করছে না। আদালত এটিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

আদালত মন্তব্য করেছে যে, যমুনাতে শুধুমাত্র পরিশোধিত জলই যাওয়ার কথা, কিন্তু রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে এই বিষয়ে এখনও অনেক কাজ করা বাকি আছে। আদালত এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।

যৌথ বৈঠক এবং রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ

হাইকোর্ট স্পেশাল কমিটির এতদিনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেছে যে, যদিও রিপোর্ট তৈরি করা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে প্রকৃত উন্নতির জন্য আরও বেশি ठोस প্রচেষ্টা জরুরি। আদালত স্পেশাল কমিটির সকল সদস্যকে নির্দেশ দিয়েছে যে, তারা ৭ই আগস্ট দিল্লি জল বোর্ড, দিল্লি নগর নিগম, দিল্লি রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম (ডিএসআইআইডিসি) এবং দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (ডিপিসিসি) আধিকারিকদের সঙ্গে একটি যৌথ বৈঠক করবে।

এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল যমুনায় দূষণের স্থায়ী সমাধানের দিকে একটি ठोस পরিকল্পনা তৈরি করা। বৈঠকের পর একটি যৌথ রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে দাখিল করা হবে, যেখানে এ পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনার পুরো বিবরণ দেওয়া হবে।

দিল্লির নর্দমা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন

আদালত আবারও রাজধানীর নর্দমা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে এবং বলেছে যে, বৃষ্টি শুরু হলেই দিল্লির রাস্তায় জলমগ্নতার সৃষ্টি হয়, যার ফলে শুধু সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন প্রভাবিত হয় তাই নয়, সেই সঙ্গে যান চলাচল ব্যবস্থাও সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। আদালত এটিকে প্রশাসনিক গাফিলতি আখ্যা দিয়ে বলেছে যে, এই সিস্টেমে দীর্ঘ দিন ধরে सुधारের প্রয়োজন, যাকে আর উপেক্ষা করা যায় না।

आगे की रणनीति क्या होनी चाहिए?

এখন ডিজেবি এবং এমসিডির উপর দায়িত্ব হল তারা যেন ৭ই আগস্টের বৈঠকের পর একটি ठोस রিপোর্ট তৈরি করে, যেখানে এটা স্পষ্ট হয় যে যমুনাতে শুধু পরিশোধিত জলই ফেলা হবে। এর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতের রণনীতি কী হবে—সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রিপোর্টে থাকতে হবে।

যদি সংস্থাগুলি আদালতকে সন্তুষ্ট করতে না পারে, তাহলে আদালত যে কোনও স্তরে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। এমন পরিস্থিতিতে এখন দেখার বিষয় হল দিল্লির প্রশাসনিক ব্যবস্থা সময় মতো জেগে ওঠে কিনা অথবা যমুনার দূষণ इसी तरह বাড়তে থাকে কিনা।

Leave a comment