রাজস্থানের ভরতপুর পুলিশ একটি বড় সাইবার জালিয়াতির চক্রের পর্দা ফাঁস করে ৪00 কোটি টাকার প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড রোহিত দুবে-কে উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর থেকে গ্রেফতার করেছে। এই সাইবার চক্রটি শুধু দেশজুড়ে বিস্তৃত ছিল না, বরং এর শিকড় বিদেশ, বিশেষ করে কম্বোডিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রোহিত, তার সহযোগী শশীকান্তের সাথে মিলে এই পুরো নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল, যা প্রযুক্তিগত দলের মাধ্যমে কম্বোডিয়া থেকে পরিচালিত হত।
আসামীর সাতবার কম্বোডিয়া ভ্রমণ
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রোহিত ও শশীকান্ত এ পর্যন্ত সাতবার কম্বোডিয়া গিয়েছেন। সেখান থেকে তাদের দল প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত কার্যক্রমগুলি পরিচালনা করত। পুলিশের মতে, রোহিত তার পরিচয় গোপন করার জন্য মির্জাপুরে তার স্ত্রীর সাথে বসবাস করছিলেন এবং তার মোবাইলের ওয়াইফাই ব্যবহার করে টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে চক্রের সাথে যোগাযোগ রাখতেন।
তাকে সনাক্ত করা না যায়, সেই কারণে তিনি নিজের মোবাইল ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন না। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি তার মোবাইল ও ল্যাপটপ নদীতে ফেলে দিয়েছেন, যা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
25টির মধ্যে 16টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা
ভরতপুর রেঞ্জের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল রাহুল প্রকাশ জানিয়েছেন যে, এই প্রতারণায় রোহিত ও শশীকান্ত মূল হোতা। এখন পর্যন্ত এই মামলায় আরও ছয়জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রটি 25টি ভুয়া কোম্পানি তৈরি করে, যার মধ্যে 16টি সম্পূর্ণ ভুয়া ছিল। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে লোকেদের সাথে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয় এবং তা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
এই চক্রের নেটওয়ার্ক শুধু ভারতেই বিস্তৃত নয়, বিদেশী সাইবার জালিয়াতদের সাথেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে, যাদের আসামি “টেকনিক্যাল টিম” বলে ডাকত। পুলিশের ধারণা, রোহিতের গ্রেপ্তারের ফলে এই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের আরও দিক প্রকাশ্যে আসবে।
বর্তমানে, পুলিশ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং এই উচ্চ-প্রোফাইল সাইবার জালিয়াতির গভীর তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।