তার সাফল্যের মূল কৌশল ছিল পরিষ্কার খাওয়া, জীবনযাত্রায় নিয়মানুবর্তিতা এবং অটল অধ্যবসায়। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে এই যুবক তার শরীরকে সুগঠিত করেছেন এবং আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।
টার্নিং পয়েন্ট
প্রায় পাঁচ মাস আগে তার ওজন ছিল ১১২ কেজি। দৈনন্দিন অভ্যাসে ফাস্টফুড, ভাজাভুজি, কার্বোনেটেড পানীয় ছিল প্রধান। শারীরিক কসরতও করতেন না। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যগত সমস্যার প্রভাব বুঝতে পেরে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেন।
জিম নয়, নিয়মানুবর্তিতা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ
প্রথম দিকে ভারি এক্সারসাইজ বা জিম শুরু করেননি। আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খাদ্যতালিকা পরিবর্তন করেন। প্রসেসড ও তৈলাক্ত খাবার বাদ দিয়ে বাড়িতে রান্না করা ব্যালেন্সড খাবারের উপর মনোনিবেশ করেন। শাকসবজি, লিন প্রোটিন এবং পর্যাপ্ত পানি পানকে গুরুত্ব দেন। খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলেন।
নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ
খাবার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি শুরু করেন। সাধারণ ও নিয়ন্ত্রিতভাবে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন। কয়েক মাসের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় শরীর সুগঠিত হতে শুরু করে।
ধারাবাহিকতা ও আত্মবিশ্বাস
কয়েক মাসের পর জিম যোগ করেন, যার ফলে পেশি সুগঠিত হয়। এই সময়ের মধ্যে ইতিবাচক অভ্যাসগুলো জীবনের অংশ হয়ে যায়। এনার্জি ও আত্মবিশ্বাসও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
ফিটনেস সিক্রেট ও ইচ্ছাশক্তি
বর্তমানে তার ওজন ৭৫ কেজি। ১৫৫ দিনে ৩৭ কেজি ওজন কমাতে তিনি অতিরিক্ত কঠোর ডায়েট বা এক্সারসাইজে ভরসা করেননি। ফিটনেস সিক্রেট ছিল সহজ: পরিষ্কার খাওয়া, দৈনন্দিন নিয়মিত অভ্যাস, এবং অটল অধ্যবসায়।
ছয় মাসের মধ্যে ৩৭ কেজি ওজন কমিয়ে নজর কাড়লেন যুবক। তার সাফল্য প্রমাণ করে, জিম বা ক্র্যাশ ডায়েট ছাড়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ দিয়েও দেহকে সুগঠিত করা সম্ভব।