মুম্বইতে অক্ষয় কুমারের সম্পত্তি বিক্রি: ৭.১০ কোটিতে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করলেন অভিনেতা

মুম্বইতে অক্ষয় কুমারের সম্পত্তি বিক্রি: ৭.১০ কোটিতে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করলেন অভিনেতা

বলিউডের খেলোয়াড় অক্ষয় কুমার আবারও রিয়েল এস্টেটের একটি বড় চুক্তি নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। এইবার কারণ হল মুম্বাইয়ের বোরিভলি ইস্ট এলাকায় তাঁর দুটি সম্পত্তি বিক্রি। শোনা যাচ্ছে, অক্ষয় কুমার মোট ৭.১০ কোটি টাকায় এই দুটি সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। এই দুটি ইউনিট সংযুক্ত ছিল এবং ওবেরয় রিয়েলিটির হাই-এন্ড রেসিডেনশিয়াল প্রোজেক্ট ‘স্কাই সিটি’র অংশ ছিল।

স্কাই সিটি প্রকল্পের বিশেষত্ব

স্কাই সিটি, ওবেরয় রিয়েলিটির একটি প্রিমিয়াম আবাসিক প্রকল্প, যা প্রায় ২৫ একর জমির উপর বিস্তৃত। এই প্রকল্পে 3BHK, স্টুডিও এবং ডুপ্লেক্সের মতো বিলাসবহুল ইউনিট উপলব্ধ। বোরিভলি ইস্ট এলাকাটি আগে থেকেই মুম্বাইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ে, মেট্রো লাইন ৭ এবং মুম্বাইয়ের শহরতলির লোকাল ট্রেনের সাথে এর চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

স্কাই সিটি প্রকল্পের আরেকটি বিশেষত্ব হল এটি সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের খুব কাছে অবস্থিত, যার ফলে এখানে বসবাসকারীরা শহুরে জীবনের পাশাপাশি সবুজের আনন্দও উপভোগ করতে পারেন। আশেপাশের এলাকাগুলিতে গোরেগাঁও এবং মালাডের মতো কর্পোরেট হাব বিদ্যমান, যা এই লোকেশনটিকে আরও বেশি চাহিদার মধ্যে রেখেছে।

প্রথম সম্পত্তির চুক্তির বিস্তারিত

অক্ষয় কুমার কর্তৃক বিক্রি করা প্রথম সম্পত্তিটি একটি বড় আকারের 3BHK ফ্ল্যাট, যার কার্পেট এরিয়া ১,১০১ বর্গফুট বলে জানা গেছে। এটি ৫.৭৫ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফ্ল্যাটের সাথে দুটি কার পার্কিং স্লটও দেওয়া হয়েছে। দলিল অনুযায়ী, এই ফ্ল্যাটটি অক্ষয় ২০১৭ সালে কিনেছিলেন। সেই সময় তিনি এর উপর ৩৪.৫০ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি এবং ৩০,০০০ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছিলেন।

এই ইউনিটের দামে সাত বছরে প্রায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, যা সম্পত্তি বাজারে একটি শক্তিশালী গ্রোথ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রিমিয়াম লোকেশন, হাই-এন্ড প্রোজেক্ট এবং চাহিদাসম্পন্ন কানেক্টিভিটির কারণে এই ফ্ল্যাটের মূল্য ক্রমাগত বেড়েছে।

দ্বিতীয় সম্পত্তির চুক্তির বিস্তারিত

অক্ষয় কুমারের দ্বিতীয় সম্পত্তিটি একটি ছোট স্টুডিও ইউনিট, যার কার্পেট এরিয়া ২৫২ বর্গফুট বলে জানা গেছে। এটি ১.৩৫ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই ইউনিটটিও ২০১৭ সালে কেনা হয়েছিল, যখন এর দাম ছিল মাত্র ৬৭.৯০ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ সাত বছরে এই সম্পত্তির দামে ৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

এই ইউনিটের উপর স্ট্যাম্প ডিউটি ৬.৭৫ লক্ষ টাকা এবং রেজিস্ট্রেশন ফি ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সম্পত্তির লোকেশন এবং সীমিত সংখ্যক ইউনিট উপলব্ধ থাকার কারণে এর বাজার মূল্য দ্রুত বেড়েছে।

স্কাই সিটিতে অন্যান্য ডিলগুলির অবস্থা

রিয়েল এস্টেট পোর্টাল স্কয়ার ইয়ার্ডসের রিপোর্ট অনুযায়ী, অগাস্ট ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে স্কাই সিটিতে প্রায় ১০০টি সম্পত্তি ডিল রেজিস্টার হয়েছে। এই সমস্ত লেনদেনের মোট মূল্য প্রায় ৪২৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে আবাসিক ইউনিটগুলির গড় রিসেল মূল্য ৪৭,৮০০ টাকা প্রতি বর্গফুট এর কাছাকাছি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এই প্রকল্পটি সেই নির্বাচিত আবাসিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম, যেখানে সেলিব্রিটি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এই বছর মে ২০২৪-এ অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনও এই প্রকল্পে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি কিনেছিলেন। এতে স্কাই সিটির ব্র্যান্ড ভ্যালু আরও বেড়ে গেছে।

সম্পত্তির ক্রেতাদের বিবরণ আপাতত গোপন রাখা হয়েছে

এই দুটি ইউনিটের ক্রেতাদের তথ্য নথিতে উপলব্ধ নেই, তবে রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই ডিলগুলি উচ্চ-নেট-ওয়ার্থ ইন্ডিভিজুয়ালস (HNIs) বা ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীদের দ্বারা করা হয়েছে। বোরিভলি ইস্টের মতো অঞ্চলে এখন সম্পত্তি বিনিয়োগের প্রবণতা শুধুমাত্র বাড়ি কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিনিয়োগের রিটার্নের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা হচ্ছে।

রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্প ডিউটির সময়সীমা

দুটি সম্পত্তিই জুন ২০২৫-এ রেজিস্টার করা হয়েছে। এই ডিলগুলির তথ্য মহারাষ্ট্র সরকারের রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইট igrmaharashtra.gov.in-এ উপলব্ধ রিয়েল এস্টেট নথির বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সামনে এসেছে।

স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি সময় মতো পরিশোধ করা হয়েছিল, যা থেকে এটিও স্পষ্ট হয় যে ডিলটি সম্পূর্ণরূপে বৈধ এবং সরকারের তত্ত্বাবধানে হয়েছে।

বলিউড তারকা এবং রিয়েল এস্টেটের সম্পর্ক

বলিউড তারকারা দীর্ঘকাল ধরে মুম্বাইয়ের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে সক্রিয় রয়েছেন। যেখানে একদিকে কিছু তারকা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সম্পত্তি কেনেন, वहीं कुछ समय-समय पर अपने पोर्टफोलियो को री-ऑर्गनाइज भी करते हैं।अक्षय कुमार, जो पहले भी कई प्रॉपर्टी सौदे कर चुके हैं, अब एक बार फिर सुर्खियों में हैं अपनी लेटेस्ट डील को लेकर। दूसरी तरफ कुछ समय-समय पर अपने पोर्टफोलियो को री-ऑर्गनाइज भी करते हैं। अक्षय कुमार, जो पहले भी कई प्रॉपर्टी सौदे कर चुके हैं, अब एक बार फिर सुर्खियों में हैं अपनी लेटेस्ट डील को लेकर।

उनकी इस बिक्री को लेकर बाजार में कई तरह की अटकलें भी हैं, लेकिन अभी तक एक्टर या उनकी टीम की ओर से कोई आधिकारिक बयान सामने नहीं आया है। उनकी इस बिक्री को लेकर बाजार में कई तरह की अटकलें भी हैं, लेकिन अभी तक एक्टर या उनकी टीम की ओर से कोई आधिकारिक बयान सामने नहीं आया है।

निवेश की दृष्टि से अहम माना जा रहा Sky City प्रोजेक्ट निवेश की दृष्टि से अहम माना जा रहा Sky City प्रोजेक्ट

Leave a comment