পুনেতে আল-কায়েদা সন্দেহভাজন আইটি পেশাদার গ্রেপ্তার, গোয়ায় দাউদের ঘনিষ্ঠ দানিশ চিকনা আটক

পুনেতে আল-কায়েদা সন্দেহভাজন আইটি পেশাদার গ্রেপ্তার, গোয়ায় দাউদের ঘনিষ্ঠ দানিশ চিকনা আটক

মহারাষ্ট্র এটিএস পুনে থেকে আল-কায়েদা যোগসূত্রের সন্দেহে আইটি পেশাদার জুবায়ের হাঙ্গারগেকরকে গ্রেপ্তার করেছে, অন্যদিকে এনসিবি গোয়া থেকে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ দানিশ চিকনাকে ধরেছে। উভয় গ্রেপ্তারের ফলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্ক হয়ে উঠেছে।

পুনে: মহারাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে একই সাথে বড় অভিযান চালিয়েছে। রাজ্য এটিএস পুনে থেকে আইটি পেশাদার জুবায়ের হাঙ্গারগেকরকে আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে, অন্যদিকে এনসিবি গোয়া থেকে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ দানিশ মার্চেন্ট ওরফে দানিশ চিকনাকে মাদক মামলায় আটক করেছে। এই দুটি গ্রেপ্তারকে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পুনে থেকে আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

মহারাষ্ট্র এটিএস পুনেতে বসবাসকারী ৩৩ বছর বয়সী আইটি ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের হাঙ্গারগেকরকে আল-কায়েদার প্রচার এবং যুবকদের মৌলবাদের পথে পরিচালিত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে জানা গেছে যে জুবায়ের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসী মতাদর্শ ছড়াচ্ছিল এবং যুবকদের "জিহাদের" নামে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল।

এটিএস কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তের কাছ থেকে আল-কায়েদা সম্পর্কিত ডিজিটাল কন্টেন্ট, অস্ত্র পরিচালনার ম্যানুয়াল এবং ওসামা বিন লাদেনের বক্তৃতার অনুবাদ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে যে জুবায়ের আইটি সেক্টরে ভালো চাকরি করত, কিন্তু ইন্টারনেটে মৌলবাদী সংগঠনগুলির সংস্পর্শে আসার পর তার চিন্তাভাবনা বদলে যায়।

এটিএস নেটওয়ার্কের গভীরভাবে তদন্ত করছে

তদন্ত সংস্থাগুলি এখন জুবায়েরের সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে সে টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে যুবকদের সংযুক্ত করার চেষ্টা করছিল। এটিএস তার ল্যাপটপ, মোবাইল এবং হার্ড ড্রাইভ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।

আধিকারিকদের সন্দেহ, অভিযুক্তের যোগাযোগ বিদেশে থাকা কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথেও থাকতে পারে। তদন্ত দল এটি জানার চেষ্টা করছে যে এই মামলার সাথে কোনো অর্থায়ন চ্যানেল বা সাইবার নেটওয়ার্ক জড়িত আছে কিনা।

গোয়ায় দাউদের ঘনিষ্ঠ গ্রেপ্তার

এরই মধ্যে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) গোয়া থেকে দানিশ মার্চেন্ট ওরফে দানিশ চিকনাকে গ্রেপ্তার করেছে, যাকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হচ্ছে। দানিশের বিরুদ্ধে মুম্বাই-গোয়ার মধ্যে মাদক পাচার এবং বিদেশি নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ রাখার অভিযোগ রয়েছে।

এনসিবি সূত্র অনুযায়ী, দানিশ দীর্ঘকাল ধরে পলাতক ছিল এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। তার গ্রেপ্তারের ফলে মুম্বাই এবং গোয়ার মধ্যে বিস্তৃত মাদক নেটওয়ার্কের অনেক যোগসূত্র উন্মোচিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

এটিএস এবং এনসিবি যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে

উভয় গ্রেপ্তারের পর নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এখন এটি জানার চেষ্টা করছে যে সন্ত্রাসী সংগঠন এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংগুলির মধ্যে কোনো আর্থিক বা লজিস্টিক সংযোগ আছে কিনা। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে মাদক থেকে অর্জিত অর্থ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার করা হতে পারে।

মহারাষ্ট্র এটিএস এবং এনসিবি একটি যৌথ দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। আধিকারিকরা বলছেন যে আগামী দিনে আরও অনেক গ্রেপ্তার হতে পারে। এই অভিযান আবারও প্রমাণ করেছে যে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সন্ত্রাসবাদ এবং অপরাধের প্রতিটি রূপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

Leave a comment