কলকাতা: আলিপুর চিড়িয়াখানায় মাত্র এক দিনের ব্যবধানে মারা গেল দুই বাঘিনী—রূপা ও পায়েল। মঙ্গলবার মারা যায় পায়েল, তার পরদিনই প্রাণ হারায় রূপা। ঘটনাটি ঘিরে প্রশ্ন উঠলেও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিল। তবুও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিসেরা পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক তথ্য বের করা হবে বলে খবর।
২৪ ঘণ্টায় দুই বাঘিনীর মৃত্যুতে রহস্য
আলিপুর চিড়িয়াখানায় মঙ্গলবার মারা যায় ১৭ বছরের পায়েল। পরদিনই ২১ বছরের সাদা বাঘিনী রূপার মৃত্যু হয়। এই টানা মৃত্যুতে চিড়িয়াখানার পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। দর্শনার্থীদের মধ্যেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা
সূত্রের খবর, পায়েল দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাস কয়েক আগে তার ইউএসজি করা হয়েছিল এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে রূপা বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিল এবং তার একটি পা প্যারালাইসড হয়ে গিয়েছিল।
তদন্তে নেমেছে বিশেষ কমিটি
সিডব্লিউএলডব্লিউ–এর নির্দেশে গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটি। বাঘিনীদের মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পাশাপাশি ভিসেরা পরীক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
আলিপুর চিড়িয়াখানার ঐতিহাসিক সম্পর্ক
উল্লেখযোগ্যভাবে, সাদা বাঘিনী রূপা জন্মেছিল আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। তার বাবা-মা দুজনেই এখানকার বাসিন্দা ছিল। ফলে এই মৃত্যু আলিপুরের ইতিহাসে এক আবেগঘন অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন কর্মীরা।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় টানা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই বাঘিনীর মৃত্যুতে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। বাঘিনী রূপা ও পায়েল দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বলে সূত্রের দাবি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।