অমরনাথ যাত্রায় রেকর্ড, তীর্থযাত্রীদের ঢল

অমরনাথ যাত্রায় রেকর্ড, তীর্থযাত্রীদের ঢল

অমরনাথ যাত্রার নবম দিনেও श्रद्धालुओंের আস্থার স্রোত কমেনি। শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরে অবস্থিত ৩,৮০০ মিটার উচ্চতার পবিত্র গুহা মন্দিরে মোট ১৮,০১০ জন তীর্থযাত্রী বাবা বরফানির দর্শন করেছেন। কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত মোট ১,৬৩,৭২৬ জন श्रद्धालु হিম শিবলিঙ্গের দর্শন করেছেন। তীর্থযাত্রীদের মধ্যে ১২,৮৩৮ জন পুরুষ, ৪,৩৪৩ জন মহিলা, ২২৩ জন শিশু, ১৪১ জন সাধু, ৮ জন সাধ্বী, ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের যাত্রী এবং ৪৫৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

এবারের অমরনাথ যাত্রা ৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এবং ৯ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। যাত্রার প্রথম দিনগুলোতেই রেকর্ড সংখ্যক দর্শকের আগমন দেখা যাচ্ছে। উপত্যকায় 'বম বম ভোলে' ধ্বনির সঙ্গে ভক্তদের উৎসাহ তুঙ্গে।

শ্রদ্ধার সঙ্গে পর্যটনেরও উন্নতি হচ্ছে

প্রশাসনের আশা, এ বছর অমরনাথ যাত্রায় श्रद्धालुओंের সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়বে। এর পাশাপাশি, এই যাত্রা জম্মু ও কাশ্মীর-এর পর্যটনেও বিশেষভাবে সাহায্য করছে। প্রচুর সংখ্যক তীর্থযাত্রীর আগমনের কারণে স্থানীয় ব্যবসা, পরিবহন এবং পর্যটন পরিষেবাগুলি শক্তিশালী হচ্ছে। উপত্যকার ভক্তির পরিবেশ ধর্মীয় পর্যটনের দিকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে।

হাই-টেক কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তার উপর নজরদারি

অমরনাথ যাত্রা বিশ্বের অন্যতম কঠিন তীর্থযাত্রা হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে দুর্গম পাহাড়ি পথ, পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় এবার অমরনাথ শ্রাইন বোর্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে। সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে।

শ্রাইন বোর্ড এবার যাত্রা পথে একটি হাই-টেক কমান্ড কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে, যা ২৪x৭ সব ধরণের কার্যকলাপের উপর নজর রাখছে। কর্মকর্তাদের মতে, কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে এই কন্ট্রোল রুম তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সহায়ক হবে।

অমরনাথ যাত্রা কেবল ধর্মীয় আস্থার প্রতীক নয়, এটি প্রদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকেও গতি দেয়। ক্রমাগত বাড়তে থাকা তীর্থযাত্রীর সংখ্যা, উন্নত ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এই যাত্রাকে নিরাপদ ও সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাবা বরফানির জয়ধ্বনিতে মুখরিত উপত্যকা এই মুহূর্তে ভক্তি ও প্রত্যাশার সঙ্গমস্থলে পরিণত হয়েছে।

Leave a comment