ভোট ২৬-এ যুদ্ধ ঘোষণা দিল্লির বঙ্গ বিজেপিকে অমিত শাহের জোরালো বার্তা

ভোট ২৬-এ যুদ্ধ ঘোষণা দিল্লির বঙ্গ বিজেপিকে অমিত শাহের জোরালো বার্তা

২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বশক্তি নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। 

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘরে বসেছিল বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন সংগঠন সম্পাদক বি এল সন্তোষ, সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল ও আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীদের সঙ্গেই আলোচনা হয় রাজনৈতিক রণনীতি নিয়ে।

এসআইআরের বারুদের গন্ধে ভোট যুদ্ধ, জোর বাড়াতে বার্তা দিল্লির

সূত্রের খবর, বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—এসআইআর ইস্যুতে বিজেপিকে জোর প্রচার চালাতে হবে। বিশেষ করে ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝাতে হবে কী এই SIR, কেন প্রয়োজন, কীভাবে তা রাজ্যের নাগরিকদের জন্য মঙ্গলজনক। দিল্লির নেতৃত্ব বলেছে—শুধু নিজের কেন্দ্রে নয়, আশপাশের পরাজিত কেন্দ্রেও প্রচার চালাতে হবে। বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ও পরিচিতিকে সামনে রেখে গড়ে তুলতে হবে মোদি মডেলের শক্তি।

বঙ্গ রাজনীতিতে পাল্টা আক্রমণের ছক, সংসদে কে বলবেন সেটাও ঠিক

তৃণমূল সংসদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিদিন সরব। ভাষা বিতর্ক থেকে শুরু করে এসআইআর পর্যন্ত সব ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করছে। সেই কারণেই বিজেপি সংসদীয় দলকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—কে, কখন, কী বলবেন সংসদে, তা নির্ধারণ করেছে দিল্লির কোর টিম। অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন—"বিবৃতি যেন সাজানো হয় পাল্টা আক্রমণের মতো।" বিজেপি চাইছে, প্রতিটি ইস্যুতেই কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট ও জোরালো হোক।

১৫ অগাস্টের মধ্যে সংগঠন গোছানোর ফরমান, ঢেলে সাজাতে হবে জেলা থেকে রাজ্য

জেলা কমিটি থেকে রাজ্য স্তরের বিজেপি সংগঠন নতুন করে তৈরি করতে হবে ১৫ অগাস্টের মধ্যেই—এমনই কড়া নির্দেশ পেয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। বুথ-স্তরে পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের হতে হবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির, কর্মঠ ও দলের প্রতি একনিষ্ঠ। আর দেরি নয়—এখন থেকেই মাঠে নামার সময়, জানিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ, বি এল সন্তোষরা।

গ্রামবাংলা ছাড় নয়, বই ছাপিয়ে প্রচারের কৌশল! নাড্ডার বুদ্ধির টোটকা

গ্রাম কিংবা শহরতলি নয়, প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছাতে হবে বিজেপির প্রচার। নাড্ডার পরামর্শ অনুযায়ী, বাংলার জন্য বিজেপি সরকার কী করেছে, তা লেখিত আকারে 'ডকুমেন্ট' হিসেবে প্রকাশ করে ছড়িয়ে দিতে হবে ঘরে ঘরে। বইয়ের আকারে ছেপে ছড়ানো হোক ‘বিজেপি ফর বাংলা’ মডেল—সেটাই মোক্ষম টোটকা বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। প্রচারের ভাষা হবে বাংলা, মন ছোঁবে আবেগে।

আর সময় নষ্ট নয়, মোদি মডেলকেই সামনে রেখে ঝাঁপাতে হবে

সব কিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে এবার বাংলায় ‘আক্রমণাত্মক গেমপ্লে’তে নামবে বিজেপি। ২৬ সালের নির্বাচনকে ‘বাংলা দখলের শেষ সুযোগ’ বলেই দেখছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় নেতাদের স্পষ্ট বার্তা—এটাই শেষ বড় সুযোগ, এবারও না পারলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তাই ‘মোদি মডেল’-কে সামনে রেখে, উন্নয়ন, দুর্নীতি বিরোধী বার্তা ও বাংলা ভাষার সম্মান—সব একত্র করেই লড়তে হবে যুদ্ধের মতো।

Leave a comment