মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে এবং এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর উপর। সম্প্রতি, দল আরও একটি বড় ধাক্কা খেয়েছে, যখন প্রাক্তন বিধায়ক বাবাজানি দুররানি এনসিপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রাক্তন বিধায়ক বাবাজানি দুররানি জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে এখন কংগ্রেস পার্টির হাত ধরেছেন। এই ঘটনা আসন্ন বিধানসভা এবং স্থানীয় নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দুররানির কংগ্রেসে যোগদানের ফলে শুধু শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীই ধাক্কা খায়নি, বরং মারাঠওয়াড়া অঞ্চলে কংগ্রেসের ভিত আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুররানির রাজনৈতিক যাত্রা: বহু বাঁক পেরিয়েছে
বাবাজানি দুররানির রাজনৈতিক জীবন বহু চড়াই-উতরাই-এর মধ্যে দিয়ে গেছে। তিনি প্রথমে অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীর সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু অজিত পাওয়ার ক্ষমতাসীন বিজেপি-শিবসেনা জোটে যোগ দেওয়ার পর, তিনি শরদ পাওয়ারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আনুগত্যও দুর্বল হয়ে যায় এবং এখন তিনি কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুররানির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর প্রতি মোহভঙ্গ হঠাৎ করে হয়নি। অসন্তোষের মূল প্রোথিত ছিল সেই সময়, যখন তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। তিনি আশা করেছিলেন যে পাওয়ার গোষ্ঠী তাঁকে সুযোগ দেবে, কিন্তু তা হয়নি। ফলস্বরূপ, তিনি নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন থেকেই তাঁর অসন্তোষ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল।
কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত: কৌশলগত পদক্ষেপ
দুররানি গত কয়েক মাসে কংগ্রেসের वरिष्ठ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি রাজনৈতিক কৌশল, স্থানীয় সমস্যা এবং আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখে কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন তাঁর এই নতুন ইনিংস কংগ্রেসের জন্য একটি রাজনৈতিক সুবিধা হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে মারাঠওয়াড়া অঞ্চলে।
শরদ পাওয়ারের জন্য বড় ধাক্কা
বাবাজানি দুররানির কংগ্রেসে যোগদান শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর জন্য রাজনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক উভয় স্তরেই বড় ক্ষতি। তাঁকে গোষ্ঠীর প্রধান মুখ হিসেবে মনে করা হত এবং মারাঠওয়াড়া অঞ্চলে তাঁর শক্তিশালী প্রভাব ছিল। এমন সময় যখন স্থানীয় স্বরাজ সংস্থা (নগর পরিষদ/পঞ্চায়েত) নির্বাচন আসন্ন, তাঁর চলে যাওয়া সংগঠনের জন্য দুর্বলতার ইঙ্গিত দিতে পারে।
এই প্রথমবার নয় যে এনসিপির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীকে নেতাদের দলত্যাগ-এর सामना করতে হচ্ছে। গত কয়েক মাসে অনেক নেতাই হয় দল ছেড়ে দিয়েছেন, না হয় অন্য গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনাগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পার্টিতে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ এবং নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাসের অভাব বাড়ছে।