দেশজুড়ে বর্ষার তাণ্ডব: মুম্বাইয়ে হাই টাইডের সতর্কতা, দিল্লি-NCR-এ মেঘ ও আর্দ্রতা

দেশজুড়ে বর্ষার তাণ্ডব: মুম্বাইয়ে হাই টাইডের সতর্কতা, দিল্লি-NCR-এ মেঘ ও আর্দ্রতা

দেশজুড়ে বর্ষা পুরোদমে শুরু হয়েছে এবং এর কারণে অনেক রাজ্যে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদীগুলো ফুলে উঠেছে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতেও বিপদের সংকেত দেওয়া হয়েছে।

IMD Alert: ভারতে বর্ষা তার চরম পর্যায়ে রয়েছে এবং এর প্রভাব দেশের বিভিন্ন অংশে দ্রুত দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) মুম্বাইয়ে হাই টাইড নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ সকাল ১১:১৪ নাগাদ ৪.৩৭ মিটার অর্থাৎ প্রায় ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সতর্কতা বিশেষভাবে সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী নাগরিক এবং প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মুম্বাইয়ে সামুদ্রিক ঢেউয়ের বিপদ ও আবহাওয়ার পরিস্থিতি

IMD-এর মতে, মুম্বাইয়ে আজ মেঘের ঘন উপস্থিতি থাকবে এবং প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সাথে সাথে বাতাসের গতি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে, যার ফলে নিচু এলাকাগুলোতে জল জমে যেতে পারে। সমুদ্র সৈকতে মোতায়েন লাইফগার্ড এবং উদ্ধারকারী দলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে, নাগরিকদের সমুদ্র এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কোঙ্কন অঞ্চলের জন্য আবহাওয়া দফতর কমলা সতর্কতা জারি করেছে, যার মানে হল সেখানে ভারী বৃষ্টির সাথে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। মুম্বাইয়ের পশ্চিম শহরতলিতে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে, যার ফলে জনজীবন প্রভাবিত হচ্ছে।

দিল্লি-এনসিআর-এ মেঘ ও আর্দ্রতা

রাজধানী দিল্লি এবং এনসিআর-এও বর্ষা সক্রিয় রয়েছে। বুধবার যেখানে সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টি দেখা গেছে, সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কালো মেঘে আকাশ ঢেকে আছে। যদিও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে আর্দ্রতাজনিত গরম মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি-এনসিআর-এ আরও বেশি বৃষ্টি হতে পারে।

তেলেঙ্গানার সাইবারাবাদ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রশাসন সক্রিয় হয়েছে। সাইবারাবাদ পুলিশ আইটি সংস্থা এবং অন্যান্য কর্পোরেটদের পরামর্শ দিয়েছে যে তারা যেন তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work from Home) এর অনুমতি দেয়, যাতে যান চলাচল, সুরক্ষা এবং পরিষেবাগুলোতে প্রভাব না পড়ে।

এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ পুলিশ জানিয়েছে যে শহরের অনেক অংশে দ্রুত বাতাস (৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা) সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

দেশজুড়ে বৃষ্টির তাণ্ডব ও বন্যার আশঙ্কা

দেশের অন্যান্য রাজ্য যেমন বিহার, আসাম, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশেও ভারী বৃষ্টির কারণে নদীগুলো ফুলে উঠেছে এবং বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কিছু এলাকায় স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে এবং ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। বর্ষার এই তীব্রতা কৃষি ক্ষেত্রের জন্য উপকারী বলে মনে করা হলেও শহর এবং উপকূলীয় অঞ্চলে এটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায়, মানুষকে আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা মেনে চলার এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

Leave a comment