বিহারের যুবকদের জন্য একটি সুখবর রয়েছে। রাজ্য সরকার কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণকে উৎসাহিত করতে ১৮.৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ফায়ার টেস্টিং অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সেন্টারটি সম্পর্কে উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানিয়েছেন যে এটি কেবল যুবকদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেবে না, তাঁদের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগও তৈরি করবে।
প্রযুক্তিগত দক্ষতার সাথে কর্মসংস্থানের পথ
রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগের অধীনে, যুবকদের অগ্নি নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অগ্নিনির্বাপণ পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে পেশাদার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ হওয়ার সুযোগ পাবেন। বিশেষ বিষয় হল, এই সিদ্ধান্তটি নির্বাচনী বছরে নেওয়া হয়েছে, যা স্পষ্ট করে যে সরকার যুবকদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানান, এই সেন্টারটি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের কেন্দ্র হবে না, যুবকদের ফায়ার সেফটি সম্পর্কিত গবেষণা এবং পরীক্ষার আধুনিক তথ্যও দেবে। তিনি এটিকে অগ্নি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা বিহারকে আত্মনির্ভর করে তোলার দিকে একটি বড় উদ্যোগ হিসেবে প্রমাণিত হবে।
কত টাকা খরচ হবে
এই প্রকল্পের অধীনে ভবন নির্মাণ, অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ক্রয় এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১৭.৩৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। একই সময়ে, সেন্টারটির সুষ্ঠু পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগামী পাঁচ বছর ধরে প্রতি বছর ১.৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রযুক্তিগত কর্মী, মানব সম্পদ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা হবে।
অগ্নিনির্বাপণ পরিষেবা পাবে নতুন মাত্রা
সম্রাট চৌধুরী জানান, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার ক্রমাগত অগ্নিনির্বাপণ পরিষেবাগুলোকে আধুনিক ও কার্যকর করার জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন যে এই সেন্টারটি কেবল অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে না, এর সাথে জড়িত গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজেও বিহারকে আত্মনির্ভর করে তুলবে।
এই পদক্ষেপ যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে এবং রাজ্যকে অগ্নি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অগ্রণী করে তোলার দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হবে।