সুপ্রিম কোর্ট ভূপেশ বাঘেল ও তাঁর ছেলের আবেদন খারিজ করে কড়া মন্তব্য করে বলেছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে কেন আসেন? আদালত হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
Bhupesh Baghel ED Case: সুপ্রিম কোর্ট ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং তাঁর ছেলে চৈতন্য বাঘেলের আবেদনের ওপর কড়া মন্তব্য করে বলেছে যে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরাসরি শীর্ষ আদালতে কেন আসেন, যেখানে হাইকোর্টও একটি সাংবিধানিক আদালত। আদালত আবেদনকারীদের প্রথমে হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং বলেছে এই ধরনের প্রবণতা সাধারণ মানুষের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দরজা বন্ধ করে দেবে।
সুপ্রিম কোর্টের কড়া মনোভাব
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি তাদের কাছে আসা ফৌজদারি মামলাগুলোর প্রবণতার ওপর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিশেষ করে সেই মামলাগুলোতে যেখানে আবেদনকারীরা সামাজিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। আদালত বলেছে এটা একটা নতুন চল হয়ে গেছে যে যখন কোনো ধনী ব্যক্তি তদন্ত বা গ্রেফতারের সম্মুখীন হন, তখন তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেছে যে এই ধারা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ এবং তাদের সাধারণ আইনজীবীদের জন্য শীর্ষ আদালতে জায়গা থাকবে না। আদালত বলেছে যে হাইকোর্টও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে সক্ষম এবং এই ধরনের মামলায় প্রথমে সেখানেই যাওয়া উচিত।
ভূপেশ বাঘেল ও তাঁর ছেলের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন
এই মামলাটি ছত্তিশগড়ের कथित মদের কেলেঙ্কারি ও অর্থ পাচার (PMLA) মামলার সঙ্গে জড়িত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং তাঁর ছেলে চৈতন্য বাঘেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে তাঁরা এজেন্সিগুলোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এবং পিএমএলএ-এর বিধানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁরা গ্রেফতারের প্রক্রিয়া বন্ধ করার এবং তদন্তের বৈধতা পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁদের আবেদনের শুনানির সময় বলেছে যে হাইকোর্ট এই বিষয়ে বিবেচনার জন্য উপযুক্ত স্থান।
আদালত কেন সুপ্রিম কোর্টে আসার যৌক্তিকতা খারিজ করেছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছে যে আবেদনকারীরা সরাসরি শীর্ষ আদালতে কেন এসেছেন, যেখানে তাঁদের কাছে হাইকোর্টের বিকল্প ছিল। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে যে যদি প্রত্যেক প্রভাবশালী ব্যক্তি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসা শুরু করেন, তাহলে বাকি নাগরিকরা কীভাবে ন্যায়বিচার পাবেন?
বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেছেন, "হাইকোর্টও একটি সাংবিধানিক আদালত এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা আছে। যদি এই প্রবণতা বন্ধ করা না যায়, তাহলে সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জন্য থেকে যাবে।"
সিনিয়র আইনজীবীদের বক্তব্য
ভূপেশ বাঘেলের পক্ষে वरिष्ठ আইনজীবী कपिल सिब्बल এবং তাঁর ছেলের পক্ষে অভিষেক मनु सिंघवी আদালতে उपस्थित ছিলেন। উভয় আইনজীবী तर्क দিয়েছেন যে তদন্তকারী সংস্থা, বিশেষ করে प्रवर्तन निदेशालय (ইডি), टुकड़ों में आरोपपत्र दाखिल করে लोगों को निशाना बना रही हैं।
সিব্বল বলেন যে এফআইআর বা প্রাথমিক চার্জশিটে যাদের নাম নেই, তাদেরও पूरक आरोपपत्र के जरिए आरोपी बनाया जा रहा है और गिरफ्तार किया जा रहा है। তিনি বলেন যে এই প্রবণতা খুবই खतरनाक है এবং इससे किसी भी निर्दोष व्यक्ति को अचानक गिरफ्तार किया जा सकता है।
সিঙ্ঘভি চৈতন্য বাঘেলের ক্ষেত্রে বলেন যে তাঁর নাম কোনো शुरुआती চার্জশিটে ছিল না। কিন্তু মার্চ ২০২৪ সালে তাঁর বাড়িতে छापा মারা হয় এবং পরে একটি पूरक চার্জशीट-এ তাঁর নাম যোগ করে তাঁকে गिरफ्तार করা হয়েছে।
আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ: প্রথমে হাইকোর্টে যান
সুপ্রিম কোর্ট ভূপেশ বাঘেল এবং তাঁর ছেলে উভয়কেই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে তাঁরা প্রথমে হাইকোর্টে যান। আদালত বলেছে যে সুপ্রিম কোর্ট তখনই হস্তক্ষেপ করে যখন কোনো অত্যন্ত অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে। অন্যথায়, প্রত্যেক অভিযুক্তের প্রথমে হাইকোর্টে নিজের বক্তব্য রাখা উচিত।
বেঞ্চ বলেছে যে যদি আমরা প্রত্যেক মামলায় সরাসরি শুনানি শুরু করি, তাহলে নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টের প্রাসঙ্গিকতা समाप्त हो जाएगी। कोर्ट ने इस बात पर भी चिंता जताई कि इससे न्याय प्रणाली पर अत्यधिक बोझ बढ़ेगा।
ভিআইপি সংস্কৃতি নিয়ে আদালতের অসন্তোষ
সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য শুধুমাত্র একটি আইনি বিষয় ছিল না, বরং न्यायिक প্রক্রিয়ায় ভিআইপি সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের ওপর একটি বড় चेतावनी ছিল। আদালত বলেছে যে যখন কোনো ধনী ব্যক্তি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসেন, তখন তিনি सामान्य प्रक्रिया को दरकिनार करते हैं। इससे आम नागरिकों को नुकसान होता है जो वर्षों तक अपनी सुनवाई की प्रतीक्षा करते हैं।