ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে অযোধ্যা সফরে এসেছেন। তাঁর বিমান শুক্রবার সকালে মহর্ষি বাল্মীকি বিমানবন্দরে অবতরণ করে, যেখানে তাঁকে কৃষি মন্ত্রী সূর্যপ্রতাপ শাহি এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিপুল অভ্যর্থনা জানান।
অযোধ্যা: ভারত ও ভুটানের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে (Bhutan PM Tshering Tobgay) শুক্রবার সকালে অযোধ্যা পৌঁছেছেন। মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে রেড কার্পেট অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই সফর শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককেও এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরে এক বর্ণাঢ্য অভ্যর্থনা
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বিমান অযোধ্যা বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি মন্ত্রী সূর্যপ্রতাপ শাহি, জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী প্রথায় পুষ্পস্তবক ও শাল উপহার দিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে সড়কপথে অযোধ্যার শ্রীরাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে পৌঁছান। এখানে তিনি ভগবান শ্রীরামললার দর্শন এবং বিশেষ পূজা-অর্चना করবেন।
এছাড়াও, তাঁর কর্মসূচিতে হনুমানগড়ি এবং অযোধ্যার অন্যান্য প্রধান মন্দির পরিদর্শনেরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রথম কোনো ভুটানি প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যা সফর করলেন। এটিকে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অংশীদারিত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
তাঁর সফর উপলক্ষে অযোধ্যায় অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
- পিএসি, সিআরপিএফ, এসএসএফ, এটিএস এবং এসটিএফ-এর দলগুলি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
- শহরের সমস্ত স্পর্শকাতর স্থানগুলিতে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
- প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও এই যাত্রার প্রতি মুহূর্তের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
- স্থানীয় প্রশাসন স্পষ্ট করেছে যে, পুরো কর্মসূচির সময় নিরাপত্তায় কোনো শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না।
তোবগের সম্মানে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন, তারপর দিল্লি रवाना
অযোধ্যায় তাঁর অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সম্মানে একটি বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এই ভোজে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। এই ভোজ ভারতীয় সংস্কৃতি এবং 'অতিথি দেবো ভব' (অতিথি ঈশ্বরসম) ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যা সফর প্রায় চার ঘণ্টার হবে। দর্শন ও পূজা-অর্চনার পর তিনি দুপুর দেড়টা নাগাদ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখান থেকে তিনি তাঁর অন্যান্য কূটনৈতিক বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।