কর্নাটক হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের সরকারি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি নেওয়ার আদেশের উপর একটি অস্থায়ী স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আরএসএস এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলি এতে স্বস্তি পেয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১৭ নভেম্বর হবে। আদালত সাংবিধানিক অধিকারের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
কর্নাটক: কর্নাটক হাইকোর্টের ধারওয়াড় বেঞ্চ রাজ্য সরকারের একটি আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই আদেশ অনুযায়ী, বেসরকারি সংগঠনগুলিকে সরকারি প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের কার্যকলাপ আয়োজনের আগে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। হাইকোর্ট এটিকে সাময়িকভাবে বাতিল করে জানিয়েছে যে মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ নভেম্বর হবে। এই আদেশটিকে বিশেষভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) এর মতো সংস্থাগুলির কার্যকলাপকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল।
আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদন
সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে পুনশ্চৈতন্য সেবা সংস্থা আবেদন দায়ের করেছিল। আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ বেসরকারি সংস্থাগুলির আইনি অধিকার লঙ্ঘন করে। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল যে সরকারি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান আয়োজন করা তাদের সংস্থাগুলির সাংবিধানিক অধিকার এবং এই আদেশ তাদের অধিকারের উপর অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
হাইকোর্টের শুনানি
বিচারপতি নাগপ্রসন্নার একক বিচারপতির বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে জানিয়েছে যে রাজ্য সরকারের আদেশের উপর তাৎক্ষণিক স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে আদেশের বৈধতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী শুনানিতে নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ অনুযায়ী, বেসরকারি সংগঠনগুলি এখন সরকারি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে, শর্ত থাকে যে তারা সমস্ত আইনি নিয়মাবলী এবং নিরাপত্তা বিধান মেনে চলবে।
সরকারের যুক্তি
এর আগে কর্নাটকের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী এইচ.কে. পাটিল স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে রাজ্য সরকারের এই আদেশ কোনো বিশেষ সংগঠনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়নি। তিনি বলেছিলেন, “সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক সম্পত্তির ব্যবহার কেবলমাত্র যথাযথ অনুমতি এবং সঠিক উদ্দেশ্যে করা হবে। যেকোনো লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে আদেশের উদ্দেশ্য হলো সরকারি সম্পত্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং সরকারি প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।













