বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫: প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির অভিনব কৌশল

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫: প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির অভিনব কৌশল

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে প্রশান্ত কিশোর (পিকে)-এর জন সুরাজ পার্টি (জসুপা) নির্বাচনী কৌশল নিয়ে প্রস্তুতি জোরদার করেছে। দলটি নিজেরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না বা কোনও জোটেও যোগ দেবে না, তবে কিছু পছন্দের প্রার্থীকে তাদের প্রতীক দিয়ে নির্বাচনী সহায়তা দিতে পারে।

पटना: প্রশান্ত কিশোর (পিকে) স্পষ্ট করেছেন যে তিনি নিজে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না এবং তাঁর জন সুরাজ পার্টি (জসুপা) কোনও জোটে শামিল হবে না। এই সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণভাবে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির নিরিখে এতে কেবল একটি সংশোধনী আসতে পারে যে, বন্ধুত্বপূর্ণ দলগুলির কিছু পছন্দের প্রার্থীকে জসুপা তাদের প্রতীক প্রদান করতে পারে, তবে এটি কেবল একটি সম্ভাবনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। জসুপা সমস্ত আসনের জন্য তাদের প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করছে।

সূত্রানুসারে, জসুপর কিছু প্রার্থীর নাম ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গেছে, তবে অনেক আসনে এখনও যোগ্য প্রার্থীর নির্বাচন হয়নি। এই ক্ষেত্রে নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের সুসম্পর্ক কাজে লাগতে পারে। এই চুক্তির ফলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নীতীশ কুমারের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবিধা

জসুপর অন্দরের সূত্রানুসারে, এনডিএ-তে নীতীশ কুমার যদি প্রত্যাশিত আসন না পান, তবে কিছু লোক জসুপর দিকে ঝুঁকতে পারে। এই পদক্ষেপ উভয় পক্ষের জন্য দ্বিমুখীভাবে লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে। নীতীশ কুমারের সমর্থক বা আগ্রহী প্রার্থীরা জসুপর মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করতে পারে।

জসুপর মধ্যে প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। দলটি যোগ্যতা, সামাজিক কাজ, উন্নয়ন-কেন্দ্রিক চিন্তা এবং স্থানীয় সক্রিয়তাকে প্রাথমিক মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেছে। আবেদন প্রক্রিয়া জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে, যেখানে প্রতি আবেদনের জন্য ২১,০০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে টিকিটের কোনও নিশ্চয়তা নেই।

প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া

রাজ্য সভাপতি মনোজ ভারতী জানিয়েছেন যে, नवराত্রির সময়ে দলটি তাদের প্রার্থীদের ঘোষণা করবে। যোগ্য প্রার্থীদের শনাক্ত করার জন্য তিন স্তরে মূল্যায়ন করা হচ্ছে – স্থানীয়, জেলা এবং কেন্দ্রীয় স্তরে। জসুপর ফোকাস কেবল জাতি-ভিত্তিক ফর্মুলার উপর নয়। দলটি সামাজিক অংশীদারিত্ব এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী:

  • অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া শ্রেণী: কমপক্ষে ৭৫ জন প্রার্থী
  • মুসলিম সম্প্রদায়: কমপক্ষে ৪০ জন প্রার্থী
  • মহিলা: প্রায় ৪০ শতাংশ (প্রায় ৯৭টি আসন)
  • সংরক্ষিত জাতি ও উপজাতি: সংরক্ষিত আসনের বাইরে অতিরিক্ত সুযোগ

এই কৌশল জাতি-কেন্দ্রিক রাজনীতি ভাঙার এবং সকল শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। প্রশান্ত কিশোর নিজে নির্বাচনে না নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে তিনি সমগ্র বিহারে দলের কৌশল এবং প্রচার-প্রসার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করতে পারেন। যদি তিনি কোনও একটি আসনে নির্বাচন লড়তেন, তবে তাঁর সময় সীমিত হয়ে যেত এবং সমগ্র রাজ্যে দলের সম্ভাবনা প্রভাবিত হত।

Leave a comment