বিহারে মহাজোট নেতাদের বিরুদ্ধে দர்பাঙায় ভোটার অধিকার যাত্রা চলাকালীন কথিত অপশব্দের কারণে মুঙ্গের আদালতে অভিযোগ দায়ের। বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করছে।
পাটনা: বিহারের মহাজোটের রাজনীতি এই মুহূর্তে একটি চ্যালেঞ্জিং মোড়ে দাঁড়িয়ে। রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদব এবং ভিআইপি প্রধান মুকেশ সাহানির বিরুদ্ধে মুঙ্গের দেওয়ানি আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দர்பাঙায় ভোটার অধিকার যাত্রা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে কথিত অপশব্দের কারণে এই ঘটনাটি সামনে এসেছে। বিজেপি নেতা মণীশঙ্কর ভোলু এই বিষয়ে মুঙ্গের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা আদালত গ্রহণ করে পরবর্তী তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনাটি কেবল বিহারেই নয়, সারা দেশ জুড়ে রাজনৈতিক মহলে এবং জনসাধারণের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি কী
দர்பাঙায় ভোটার অধিকার যাত্রা চলাকালীন মহাজোট নেতাদের মঞ্চে কথিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। বিজেপি নেতা মণীশঙ্কর ভোলু অভিযোগ করেছেন যে এই অপশব্দগুলি মঞ্চে প্রকাশ্যে এবং জনসাধারণের সামনে বলা হয়েছিল, যা কেবল সামাজিক অনুভূতিকেই আঘাত করেনি, বরং জাতীয় সম্মানকেও ক্ষুণ্ণ করেছে। অভিযোগে স্পষ্ট করা হয়েছে যে মহাজোট নেতাদের অনুষ্ঠানের সময় এই ঘটনাটি ঘটেছিল এবং এই বিষয়ে আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আদালতে প্রক্রিয়া
মুঙ্গের আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করার পর আদালত তা গ্রহণ করে এবং পরবর্তী তদন্তের জন্য অন্য আদালতে পাঠিয়েছে। আইনজীবী শ্রীকুমার শঙ্কর সোনাভদ্র জানিয়েছেন যে অভিযোগপত্র মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দাখিল করা হয়েছিল। এতে অভিযোগ করা হয়েছে যে মহাজোট নেতারা প্রকাশ্যে অপশব্দ ব্যবহার করছিলেন, যা আইন এবং সামাজিক मर्यादा বিরোধী। আদালতে এই মামলার শুনানির সময় সমস্ত সাক্ষ্য এবং অভিযোগগুলি বিবেচনা করা হবে এবং তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযোগকারী এবং সহযোগী
এই মামলায় বাদী হিসেবে বিজেপি নেতা মণীশঙ্কর ভোলু এবং তাদের আইনজীবী দল দিলীপ কুমার রানা, রণজিৎ কুমার সিং রয়েছেন। এছাড়াও, ত্রিভুবন নিশেদ, অমর রত্নম, চন্দন শর্মা, দীপক যাদব এবং অন্যান্য সহযোগীরাও এই মামলার সাথে যুক্ত। বিধায়ক প্রণব কুমার যাদব এবং বিজেপি জেলা সভাপতি অরুণ পোদ্দারও এই মামলায় প্রশাসনিক এবং আইনি সহায়তা প্রদান করেছেন। এভাবে এই মামলাটি কেবল একটি রাজনৈতিক বিবাদই নয়, বরং আইনি এবং প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।