বিজেপি বিধায়কের থানায় 'হম্বিতম্বি': ভাইরাল ভিডিও, রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক

বিজেপি বিধায়কের থানায় 'হম্বিতম্বি': ভাইরাল ভিডিও, রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক

জয়পুরের হাওয়া মহল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি বিধায়ক বাবা বালমুকুন্দ আচার্য্য আবারও খবরের শিরোনামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও রাজনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিডিওটিতে বিধায়ককে রামগঞ্জ থানার ভিতরে থানারদারের চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে এবং সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কঠোর ভাষায় কথা বলতে শোনা যাচ্ছে।

ঘটনাটি ১৩ই জুলাইয়ের, যখন শ্রাবণ মাসে বের হওয়া কাওাড় যাত্রা নিয়ে জয়পুরের রামগঞ্জ থানায় একটি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে যানজট ব্যবস্থা, পার্কিং এবং যাত্রাকালে মাংসের দোকান বন্ধ রাখা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে রামগঞ্জ, গালতা গেট এবং মানিক চক থানার আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিও হতবাক

ভিডিওতে বিধায়ক আচার্য্যকে এক অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে, যেখানে তিনি বলছেন, "মাথা ফাটিয়ে দেবো, মনে রাখবেন... মহারাজ বলেন আমাকে?" এই সময় তাঁর মেজাজ এতটাই তেতো ছিল যে সেখানে উপস্থিত বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অশোক পরনামীও হতবাক হয়ে যান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন, "আপনাকে অভিযোগ করব, নাকি সামনে বসা থানারদারকে?"

শুধু তাই নয়, বিধায়ককে থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বলতে শোনা যায় যে ঘটনা ঘটে চলেছে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না... এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর শান্তির জন্য বৈঠক করা হয়। থানায় এই ধরনের আচরণ এবং ভাষার ব্যবহার নিয়ে এখন রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

আইন চালানোর শখ হয়েছে বিধায়কের

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই কংগ্রেস বিধায়কের এই আচরণের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। বিরোধী দলনেতা টিকারাম জুলি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ তীব্র মন্তব্য করে লিখেছেন, "আইন প্রণেতারা এখন আইন চালানোর শখ করেছেন। যাদেরকে জনতা নীতি নির্ধারণের জন্য নির্বাচিত করেছে, তারা ক্ষমতার দম্ভে সংবিধান ও আইনের মর্যাদা ভুলে গেছে। হাওয়া মহলের জনতা হতবাক — ইনি কি মাননীয় বিধায়ক নাকি থানারদার?"

কংগ্রেস এই ইস্যুতে বিজেপির কাছে জবাব চেয়েছে এবং বিধায়কের আচরণকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক মর্যাদার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে।

বিরোধীপক্ষের নিশানা

বিজেপি বিধায়কের এই ভিডিওটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী দল এটিকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে অভিহিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। অন্যদিকে, প্রশাসন থেকে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জয়পুরের রাজনীতিতে এই ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে এবং আগামী দিনগুলিতে এই ইস্যু আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সকলের দৃষ্টি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উভয় স্তরে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নিবদ্ধ রয়েছে।

Leave a comment