হিন্দি-মারাঠি বিতর্কের মাঝে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে রাজ ঠাকরের উপর সরাসরি আক্রমণ করলেন। এমএনএস কর্মীদের সহিংসতার উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বললেন - জনতার সমর্থন নেই।
মহারাষ্ট্র: ইদানিং মহারাষ্ট্রে হিন্দি ও মারাঠি ভাষা নিয়ে বিতর্ক গভীর হচ্ছে। এই বিষয়টি আবারও রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরের উপর তীব্র আক্রমণ করেছেন এবং সরাসরি তাকে "গুন্ডামি" ছড়ানোর নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
নিশিকান্ত দুবে আবার নিশানা করলেন
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X (আগে টুইটার) -এ একটি পোস্টে লিখেছেন যে, যখন রাজ ঠাকরে জনগণের সমর্থন পান না, তখন তিনি গুন্ডাদের সহায়তায় রাজনীতি করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ঠাকরের একমাত্র উদ্দেশ্য হল সহিংসতা ছড়ানো, বিশেষ করে যখন তিনি নির্বাচনে হারের ভয় পান। এই মন্তব্যটি মুম্বাই পুরসভা নির্বাচনের আগে এসেছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
২০০৭ সালের ঘটনার উল্লেখ
নিশিকান্ত দুবে উইকিলিক্সে উল্লিখিত ২০০৭ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, সেই সময় এমএনএস কর্মীরা এক বিহারী ছাত্রের উপর হামলা চালিয়েছিল। তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয়, বরং ঠাকরের রাজনৈতিক রীতির পুরনো একটি রূপ। যখনই ঠাকরে মনে করেন যে তিনি নির্বাচনে হারতে পারেন, তখনই তিনি সহিংসতা এবং হুমকির আশ্রয় নেন।
'সহনশীলতার সীমা শেষ'
নিশিকান্ত দুবে তার বিবৃতিতে আরও বলেছেন যে, এখন সহনশীলতার সীমা শেষ হয়েছে। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন যে তিনি ঠাকরের গুন্ডামির বিরুদ্ধে এবং চুপ করে থাকবেন না। তিনি মারাঠা সম্প্রদায়ের প্রতিও সম্মান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এই দেশ সবার, কোনো একটি সম্প্রদায়ের নয়।
মারাঠা সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান
বিজেপি সাংসদ তার পোস্টে মারাঠা সম্প্রদায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে লিখেছেন যে, যেখানে তিনি সাংসদ, সেখানে মারাঠা নেতা মধু লিমায়ে তিনবার সাংসদ ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে একজন মারাঠাকে জিতিয়েছিলাম। তিনি রাজ ঠাকরেকে সতর্ক করে বলেন, তার রাজনৈতিক লড়াই মারাঠা সম্প্রদায়ের নামে চালাবেন না।
মুম্বাইয়ের উন্নয়নে সকলের অবদান
নিশিকান্ত দুবে আরও বলেছেন যে, মুম্বাইয়ের উন্নয়নে কেবল একটি সম্প্রদায়ের নয়, বরং সকল রাজ্য এবং সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে। তিনি দাবি করেন যে, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মতো হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির মানুষও মুম্বাইকে অর্থনৈতিক রাজধানী বানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার এই বক্তব্য ঠাকরের সেই মনোভাবের জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তিনি প্রায়শই হিন্দিভাষী মানুষের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেন।
এমএনএস কর্মীদের গ্রেপ্তার
এই বিতর্কের মধ্যে আরেকটি বড় ঘটনা সামনে এসেছে। মুম্বাইয়ের ওয়ারলি এলাকায় ব্যবসায়ী সুশীল কেডিয়ার অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগে মহারাষ্ট্র পুলিশ মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-এর পাঁচজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ এদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করেছে।