বিজেপি ১০ থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে তিরঙ্গা যাত্রা করবে। এই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা, অপারেশন সিন্দূরের সাফল্যের প্রচার এবং বিভাজন বিভীষিকা দিবসে নীরব মিছিলের আয়োজন করা হবে।
Tiranga Yatra: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশজুড়ে আবারও তিরঙ্গা যাত্রা বের করতে চলেছে। এই যাত্রা ১০ থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত দেশের প্রতিটি মণ্ডলে অনুষ্ঠিত হবে। এর উদ্দেশ্য হল দেশভক্তির চেতনা বৃদ্ধি করা এবং অপারেশন সিন্দূরের সাফল্যগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
যাত্রার উদ্দেশ্য
বিজেপির এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল দেশবাসীর মধ্যে দেশপ্রেমকে আরও শক্তিশালী করা। এছাড়াও, এই যাত্রার সময় পার্টি সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের দেওয়া ভাষণগুলির ব্যাপক প্রচার করবে।
অপারেশন সিন্দূরের উদযাপন
এই যাত্রাটি বিজেপির পূর্বে আয়োজিত ১৩ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত তিরঙ্গা যাত্রার মতোই হবে, যা অপারেশন সিন্দূরের সাফল্য উদযাপন করার জন্য বের করা হয়েছিল। এখন লোকসভায় এই অভিযানের উপর ১৬ ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর এটিকে একটি নতুন পর্ব হিসেবে পেশ করা হচ্ছে।
হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান
১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত চলা 'হর ঘর তিরঙ্গা' অভিযানের অধীনে প্রতিটি নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য উৎসাহিত করা হবে। এর উদ্দেশ্য হল এটি নিশ্চিত করা যে স্বাধীনতা দিবস কেবল সরকারি আনুষ্ঠানিকতা না থেকে, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবে পরিণত হয়।
স্মারকস্তম্ভে পরিচ্ছন্নতা অভিযান
এই যাত্রার সময় বিজেপি স্বাধীনতা সংগ্রাম, যুদ্ধ স্মারক এবং জাতীয় স্মারক সম্পর্কিত স্থানগুলিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানও চালাবে। এর মাধ্যমে কেবল পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে না, বরং এই স্থানগুলোর ঐতিহাসিক তাৎপর্যও তুলে ধরা হবে।
সেনা ও শহীদদের সম্মান
প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকা সম্মানিত করার জন্য যাত্রার সময় ভারতীয় সৈন্যদের সেবা ও আত্মত্যাগ তুলে ধরা হবে। পোস্টার, প্রদর্শনী ও সংলাপের মাধ্যমে দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হবে এবং দেশের সামরিক শক্তিকে জনগণের সামনে আনা হবে। শহীদদের পরিবার, যুদ্ধ নায়ক এবং পুলিশ কর্মকর্তাদেরও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত করা হবে।
সীমান্ত চৌকি পরিদর্শন
অভিযানের একটি অংশ হিসেবে, বিজেপি সীমান্ত অঞ্চলগুলির চৌকিতেও কর্মসূচি আয়োজন করবে। যেখানে সৈন্যদের তাদের নিষ্ঠা ও দেশ সেবার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত করা হবে। এই পদক্ষেপ বিশেষভাবে তাদের জন্য যারা সীমান্তে মোতায়েন থেকে দেশের রক্ষা করেন।
বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস
১৪ অগাস্ট বিজেপি বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবসও পালন করবে। এই দিনে দেশজুড়ে নীরব মিছিল বের করা হবে, যেখানে ভারত বিভাগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এই মিছিল দেশের বিভিন্ন অংশে স্থানীয় কর্মী ও নেতাদের নেতৃত্বে হবে।
এই ব্যাপক অভিযানের পরিচালনার জন্য প্রতিটি রাজ্যে একজন আহ্বায়ক ও তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হবে, যারা যাত্রার সমস্ত দিক সমন্বয় করবে। জাতীয় স্তরে বিজেপির জাতীয় মহাসचিব সুনীল বনসলকে অভিযানের প্রধান সমন্বয়কারী নিযুক্ত করা হয়েছে।