TMC vs BJP Bengal Politics: বাংলায় ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ বা ‘সার’ প্রক্রিয়া ঘিরে ফের চড়ছে রাজনীতির পারদ। তৃণমূল যেখানে বলছে, সার আসলে বিজেপির এনআরসি–র পূর্বাভাস, সেখানে গেরুয়া শিবির বলছে— এই অভিযোগই প্রমাণ করে শাসকদলের দ্বিচারিতা। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তৃণমূলের নেতারাই এনিউমারেশন ফর্ম নিচ্ছেন, অথচ সাধারণ মানুষকে তা না নিতে বলছেন। ভোটের মুখে এই পাল্টা ন্যারেটিভকেই হাতিয়ার করতে চাইছে পদ্ম শিবির।

‘সার’ নিয়ে নতুন তরজা রাজ্য রাজনীতিতে
বাংলার ভোটার তালিকা সংশোধনের ‘সার’ প্রক্রিয়া শুরু হতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল বলছে, বিজেপি এনআরসি ও এনপিআর–এর ছায়া নামিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করছে। অন্যদিকে বিজেপি বলছে, এই যুক্তি ভিত্তিহীন— কারণ তৃণমূলের নেতারাই এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক এখন নির্বাচনী কৌশলের কেন্দ্রে। ‘সার’ ইস্যুকে ঘিরে দুই দলই নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে শক্ত করতে চাইছে।
বিজেপির পাল্টা প্রচার: তৃণমূলের ‘দ্বিচারিতা’ প্রকাশ
শুক্রবার সল্টলেকে বিজেপির রাজ্য দফতরে কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— তৃণমূলের ‘দ্বিচারিতা’ই হবে দলের নতুন প্রচারের মূল অস্ত্র। শুভেন্দু অধিকারী শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মালা রায়–এর মতো নেতারা নিজেরাই এনিউমারেশন ফর্ম নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও নিয়েছেন। অথচ জনতাকে বলছেন সার মানেই এনআরসি! মানুষ সব বুঝে ফেলেছে।তাঁর দাবি, তৃণমূল ইতিমধ্যেই ৩৫ হাজারের বেশি বুথ লেভেল এজেন্ট নিয়োগ করেছে ‘সার’ প্রক্রিয়ায়। তাহলে তারা সার বিরোধিতা করছে কেন?

‘কাউন্টার ন্যারেটিভ’ তৈরি করে মাঠে বিজেপি
কোর কমিটির বৈঠকে শুভেন্দু, সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা একমত হন— তৃণমূলের ভয় দেখানো রাজনীতির মোকাবিলায় পাল্টা ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে। প্রচারে জোর দেওয়া হবে এই বার্তায় যে, ‘সার’ হলো ভোটার তালিকার নিয়মিত পর্যালোচনা, এনআরসি নয়।বিজেপির প্রচারের মূল ফোকাস এখন— “তৃণমূল একদিকে অংশ নিচ্ছে, অন্যদিকে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।” এই যুক্তির মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের আতঙ্ক কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস তৈরি করাই গেরুয়া শিবিরের কৌশল।
তৃণমূলের জবাব: ‘বিজেপি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে’
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। দলীয় মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, “তৃণমূল কখনও বলেনি কেউ ফর্ম ভরবেন না। বরং যাতে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ না যায়, সে কারণেই আমরা ফর্ম ফিল–আপে সাহায্য করছি। বিজেপি এখন বিপাকে পড়ে মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে চাইছে।তাঁর কথায়, “২০০২–এও সার হয়েছিল, তখন তো কেউ ভয় পাননি। মানুষ বুঝে গিয়েছেন, বিজেপির আসল লক্ষ্য রাজ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো।

ভোটার তালিকা সংশোধনের ‘সার’ প্রক্রিয়া ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির তরজা তীব্র। শাসকদলকে ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগে skন্ধে তুলেছে বিজেপি, দাবি করেছে— তৃণমূল নিজেই ‘সার’–এ অংশ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। পাল্টা তৃণমূল বলছে, বিজেপি বাংলার ভোটারদের ভয় দেখাতে চাইছে।













