Calcutta High Court on CAA: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) অনুযায়ী আবেদনকারীদের উত্তর না মেলায় দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে শুনানি শেষে আদালত জানায়—এই মামলায় সকল আবেদনকারীকে একসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রতিটি মামলা আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের বিষয় ১০ দিনের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে।

একসঙ্গে নির্দেশ নয়, স্পষ্ট আদালত
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল সোমবার বলেন, “এই মামলায় সকল আবেদনকারীকে একসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রতিটি আবেদন পৃথকভাবে বিবেচনা করতে হবে।” আদালত স্পষ্ট জানায়, সিএএ সংক্রান্ত নাগরিকত্ব আবেদন নিয়ে সার্বিক নির্দেশ আদালতের এখতিয়ারে পড়ে না।
এনজিওর জনস্বার্থ মামলা খারিজ
এই মামলাটি দায়ের করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের দাবি ছিল—যাঁরা সিএএ অনুযায়ী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের আবেদন দ্রুত অনুমোদন বা বাতিল করা হোক। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে জানায়, এটি জনস্বার্থ মামলা হলেও একযোগে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রের আশ্বাস: ১০ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ
সোমবারের শুনানিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আদালতে জানান, মামলায় যুক্ত আবেদনকারীদের আবেদন ১০ দিনের মধ্যে বিবেচনা করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত দেশের সব আবেদনকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে আদালতকে জানানো হয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য
বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ—প্রত্যেকের নাগরিকত্বের বিষয় আলাদাভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন, কারণ প্রত্যেকের কাগজপত্র ও যোগ্যতা পৃথক। তাই একসঙ্গে রায় বা নির্দেশ দিলে তা আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে। ফলে আদালত এই মামলাটি খারিজের সিদ্ধান্ত নেয়।
এসআইআর-এ আবেদনকারীদের উদ্বেগ
সিএএ অনুযায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করেও অনেকেই এখনও উত্তর পাননি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর পোর্টালে আবেদনকারীদের সমস্যার কথা জানানো হয়েছিল আদালতে। যদিও কেন্দ্র বলেছে—এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আবেদনকারীদের বিষয়েই শুধুমাত্র পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নাগরিকত্ব আইন (CAA) সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানায়, সকল আবেদন একসঙ্গে বিবেচনা করা যাবে না। প্রতিটি আবেদন পৃথকভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, মামলার সঙ্গে যুক্ত আবেদনকারীদের আবেদন ১০ দিনের মধ্যেই বিবেচনা করা হবে।












