ছত্তিসগঢ়ে ইডি-র হাতে ভুপেশ বাঘেলের ছেলে চৈতন্য, আবগারি কেলেঙ্কারিতে আটক। ইডি অফিসের বাইরে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ, বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিরোধীদের।
Congress Protests: ছত্তিসগঢ়ের রাজনীতিতে বড়সড় আলোড়ন সৃষ্টি হয় যখন ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের ছেলে চৈতন্য বাঘেলকে আর্থিক তছরুপের (মানি লন্ডারিং) মামলায় আটক করে। বলা হচ্ছে, এই মামলাটি আবগারি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতারের পর কংগ্রেস সমর্থকরা ইডি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
শুক্রবার সকালে চৈতন্য বাঘেলকে আটকের পর ইডি রায়পুর আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। আদালতে পেশ করার সময় কংগ্রেসের वरिष्ठ নেতা, বিধায়ক এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।
কংগ্রেস সমর্থকদের বিক্ষোভ
গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রায়পুরে অবস্থিত ইডি অফিসের বাইরে কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, এই ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিধানসভা অধিবেশন থেকে বিরোধীদের ওয়াকআউট
শুক্রবার ছত্তিসগঢ় বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চৈতন্য বাঘেলের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলি অধিবেশনের মাঝখান থেকে ওয়াকআউট করে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসার পর সকল বিধায়ক ভুপেশ বাঘেলের বাসভবনে যান, যেখানে পরবর্তী রণনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নেতাদের প্রতিক্রিয়া
বিরোধী দলনেতা ড. চরণদাস महंत বলেন, এই গ্রেফতারি রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা। তিনি বলেন, আজ চৈতন্যের জন্মদিন এবং সেই দিনই তাঁকে গ্রেফতার করা থেকে স্পষ্ট যে সরকার ভীতির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। তিনি অভিযোগ করেন যে রাজ্যের বিজেপি সরকার শিল্পপতিদের, বিশেষ করে আদানি গোষ্ঠীকে সমর্থন করছে এবং বিরোধীদের নিশানা করছে।
কংগ্রেসের ঐক্যবদ্ধ মনোভাব
এই পুরো ঘটনার পর কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধভাবে ভুপেশ বাঘেল ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। দলীয় নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখেন এবং কোনো প্রকার রাজনৈতিক নিপীড়নের কাছে মাথা নত করবেন না।
আবগারি কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপট
ইডি-র তদন্ত একটি আবগারি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, যেখানে সরকারি লাইসেন্সের মাধ্যমে অবৈধ উপার্জন এবং আর্থিক তছরুপের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগ রয়েছে। ইডি-র দাবি, এই মামলার সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ সূত্র চৈতন্য বাঘেলের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সেই কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
যদিও কংগ্রেস এই পুরো তদন্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করছে। দলের বক্তব্য, বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করার জন্য এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলের নেতাদের উপর ইডি-র পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ড. চরণদাস महंत বলেন, দেশে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, যদি বিরোধীদের কণ্ঠ তোলা অপরাধ হয়ে যায়, তাহলে এটা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক ইঙ্গিত।