শিবহরে বিজেপি-র ধাক্কা, আরজেডিতে যোগ দিলেন রাকেশ ঝা

শিবহরে বিজেপি-র ধাক্কা, আরজেডিতে যোগ দিলেন রাকেশ ঝা

শিবহরে বিজেপি-র আরও একটি বড় ধাক্কা। প্রাক্তন মন্ত্রী রঘুনাথ ঝা-এর পৌত্র রাকেশ ঝা দল ছেড়ে আরজেডি-তে যোগ দিলেন। গত ৩০ দিনে এটি বিজেপি-র তৃতীয় ক্ষতি।

Bihar Politics Shift: বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। শিবহর জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র আরও একটি বড় ধাক্কা লাগল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পণ্ডিত রঘুনাথ ঝা-এর পৌত্র এবং প্রাক্তন বিধায়ক অজিত ঝা-এর পুত্র রাকেশ ঝা বিজেপি থেকে পদত্যাগ করে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-তে যোগ দিয়েছেন।

রাজধানী পটনায় আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব এবং বিরোধী দলনেতা তেজस्वी যাদবের উপস্থিতিতে রাকেশ ঝা আনুষ্ঠানিকভাবে আরজেডি-র সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এই ঘটনা শুধুমাত্র শিবহরেই নয়, রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এক মাসে তিনজন বড় নেতা বিজেপি ছেড়েছেন

বিগত এক মাসে বিজেপি-র এটি তৃতীয় বড় ধাক্কা। এর আগে বৈশ্য সমাজের দুই বড় নেতা রাধাকান্ত গুপ্ত ওরফে বাচ্চু জি এবং রামাধার সাহুও দল ছেড়েছিলেন। রাধাকান্ত গুপ্ত আরজেডি-তে যোগ দিয়ে লালু-তেজস্বীর দলকে শক্তিশালী করেছেন, যেখানে রামাধার সাহু জনসুরাজের হাত ধরেছেন।

এখন রাকেশ ঝা-এর দল ছাড়ার ফলে বিজেপি-র শিবহর ইউনিট দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এটিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-র জন্য একটি গুরুতর ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

রাকেশ ঝা-এর পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাস

রাকেশ ঝা একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তাঁর দাদু পণ্ডিত রঘুনাথ ঝা শুধুমাত্র শিবহরের দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন না, কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। রাকেশের বাবা অজিত ঝাও বিধায়ক ছিলেন এবং বিভিন্ন দলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। রাকেশ ঝা নিজেও দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই নবনীত ঝা আগে থেকেই আরজেডি-তে সক্রিয়।

জনসুরাজের সক্রিয়তাও আলোচনায়

আরজেডি এবং বিজেপি-র মধ্যে চলমান এই টানাটানির মধ্যে একটি তৃতীয় পক্ষও উঠে আসছে - জনসুরাজ। প্রশান্ত কিশোরের নেতৃত্বাধীন এই রাজনৈতিক মঞ্চটি ক্রমাগত বিহারে সক্রিয় হয়ে উঠছে।

পিপরাহিতে আয়োজিত একটি সভায় জনসুরাজ নেতা নীরজ সিং বলেন যে বিহারের উন্নয়ন ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর প্রতিশ্রুতিতে নয়, বরং বাস্তব কাজের মাধ্যমে হবে। তিনি আরও বলেন যে, মানুষ আজও বিহারের বাইরে কাজের সন্ধানে पलायन করছে। নীরজ সিং দাবি করেন যে জনসুরাজ ২৪৩টি আসনে নির্বাচন লড়বে এবং বিহারে একটি নতুন রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি করবে।

জনসুরাজের ঘোষণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি

নীরজ সিং বলেন যে, বৃদ্ধ ভাতা বাড়িয়ে ১১০০ টাকা করা শুধুমাত্র একটি নির্বাচনী চমক। তিনি আরও জানান যে প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা রয়েছে বৃদ্ধ ভাতা ২০০০ টাকা করার, এবং এর জন্য তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের অবস্থা বুঝেছেন।

এই बीच মীনাপুরের बलহা বাজারে অনুষ্ঠিত একটি জনসভায় জনসুরাজ নেতারা জনগণের সঙ্গে संवाद করেন और উন্নয়নের একটি রোডম্যাপ साझा করেন। জয় রাম সিং-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এটা स्पष्ट করা হয় যে, জনসুরাজ শুধুমাত্র নির্বাচন লড়বে না, বরং বিহারের জন্য একটি दीर्घकालिक পরিকল্পনাও নিয়ে আসবে।

Leave a comment