মাসুদ আজহারের নতুন ঠিকানা: বাহাওয়ালপুর থেকে গিলগিট-বালতিস্তানে পলায়ন

মাসুদ আজহারের নতুন ঠিকানা: বাহাওয়ালপুর থেকে গিলগিট-বালতিস্তানে পলায়ন

জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার এখন বাহাওয়ালপুর থেকে পালিয়ে PoK-এর গিলগিট-বালতিস্তানে লুকিয়ে আছে। রিপোর্টে দাবি, পাক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা জারি। বিলাওয়াল ভুট্টোর দাবির পর্দাফাঁস।

পাকিস্তান: পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজহারকে আবারও পাকিস্তানে সক্রিয় দেখা গেছে। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন তাকে বাহাওয়ালপুর থেকে কিছু দূরে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এর গিলগিট-বালতিস্তান এলাকায় দেখা গেছে। এর আগে তার অবস্থান স্কardu-তে বলা হয়েছিল।

মাসুদ আজহারের নতুন লোকেশনের खुलासा

পাকিস্তানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের কার্যকলাপের উপর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজর রয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুসারে, এখন মাসুদ আজহারকে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এ দেখা গেছে। তিনি বাহাওয়ালপুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গোলাম কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে রয়েছেন। এর আগে তাকে স্কardu-র সদপাড়া রোড এলাকায় দেখা গিয়েছিল।

বাহাওয়ালপুর থেকে গিলগিট পর্যন্ত সফর

বাহাওয়ালপুরকে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি হিসেবে মনে করা হয়। এখান থেকেই মাসুদ আজহার তার জঙ্গি অপারেশন চালায়। বাহাওয়ালপুরে তার দুটি প্রধান ठिकाনা রয়েছে যেখান থেকে সে সংগঠন পরিচালনা করে। কিন্তু এখন গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সে তার অবস্থান পরিবর্তন করে বাহাওয়ালপুর থেকে গিলগিট-বালতিস্তানে পৌঁছে গেছে।

অপারেশন সিন্ধুরে জইশের ক্ষতি হয়েছিল

উল্লেখ্য, 2019 সালে পুলওয়ামা হামলার জবাবে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের বালাকোটে অপারেশন সিন্ধুরের অধীনে জইশ-ই-মহম্মদের ট্রেনিং ক্যাম্প ও ঘাঁটিগুলোকে निशाना করেছিল। এই অপারেশনে মাসুদ আজহারের অনেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হামলায় তার পরিবারের 10 জনের বেশি সদস্যও নিহত হয়েছিল। স্বয়ং আজহার একটি অডিও বার্তায় এই কথা নিশ্চিত করেছিল এবং বলেছিল যে ভালো হতো যদি সেও এই হামলায় মারা যেত।

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর দাবি

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দাবি করে আসছে যে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাস্তবতা এর বিপরীত। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো সম্প্রতি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে মাসুদ আজহার আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাকতে পারে এবং যদি সে পাকিস্তানে পাওয়া যায় তবে তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

কিন্তু ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মাসুদ আজহার পাকিস্তানের ভেতরেই আইএসআই এবং পাক সেনার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিলাওয়ালের এই বক্তব্য শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের ভাবমূর্তি सुधारने की চেষ্টা বলে মনে হয়।

Leave a comment