জমির বদলে চাকরি কেলেঙ্কারি: লালুকে সুপ্রিম কোর্টের অব্যাহতি, চলবে ট্রায়াল

জমির বদলে চাকরি কেলেঙ্কারি: লালুকে সুপ্রিম কোর্টের অব্যাহতি, চলবে ট্রায়াল

জমির বদলে চাকরি কেলেঙ্কারিতে লালু যাদবকে সুপ্রিম কোর্টের হাজিরা থেকে অব্যাহতি, তবে ট্রায়াল কোর্টের শুনানি চলবে। হাইকোর্টকে দ্রুত রায় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Lalu Land job Case: রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) প্রধান এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব সুপ্রিম কোর্ট থেকে জমির বদলে চাকরি (Land-for-Jobs) কেলেঙ্কারিতে আংশিক স্বস্তি পেলেও, তিনি আরও একটি ধাক্কা খেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ট্রায়াল কোর্টের কার্যক্রমে কোনও স্থগিতাদেশ থাকবে না। তবে, লালু যাদবকে আপাতত ব্যক্তিগতভাবে কোর্টে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান কী ছিল?

সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ, যেখানে বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিং ছিলেন, ট্রায়াল কোর্টের শুনানি বন্ধ করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এই সময় বেঞ্চ দিল্লি হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়, তারা যেন এই মামলার শুনানি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করে এবং দ্রুত রায় দেয়। আদালত স্পষ্ট বলেছে যে ট্রায়াল কোর্টের প্রক্রিয়া চলবে এবং এতে কোনও বাধা দেওয়া হবে না।

ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে মুক্তি

এই সিদ্ধান্তের মধ্যে, সুপ্রিম কোর্ট লালু যাদবকে ট্রায়াল কোর্টে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর অর্থ হল, তাঁকে আপাতত কোর্টের প্রতিটি শুনানিতে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে না। এই ছাড় তাঁর বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনা করে দেওয়া হয়েছে।

মামলাটি কী?

এই মামলাটি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যেকার, যখন লালু প্রসাদ যাদব কেন্দ্রীয় সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন। সিবিআই তাদের তদন্তে জানতে পেরেছে যে এই সময়ে পশ্চিম মধ্য রেলওয়ে জোন, জবলপুরে (মধ্যপ্রদেশ) গ্রুপ ডি-র নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।

সিবিআই-এর অভিযোগ, এই নিয়োগের বদলে প্রার্থীদের থেকে লালু যাদব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে জমি হস্তান্তর করানো হয়েছে। সিবিআই-এর अनुसार, এই জমিগুলোর বাজার মূল্যও কম দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ, চাকরি পাওয়ার জন্য তাঁদের জমি নেওয়া হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তে তাঁদের ন্যায্য মূল্য দেওয়া হয়নি।

সিবিআই-এর এফআইআর এবং লালুর আবেদন

সিবিআই এই মামলায় লালু যাদব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। লালু যাদব দিল্লি হাইকোর্টে এই এফআইআর বাতিল করার আবেদন জানিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। হাইকোর্ট ২৯ মে-র শুনানিতে বলেছিল যে ট্রায়াল কোর্টের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এখন হাইকোর্ট সিবিআইকে নোটিশ পাঠিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১২ অগাস্ট ধার্য করেছে।

হাইকোর্টের কাছে কী আশা?

সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের কাছে আশা করেছে যে তারা যেন এই মামলার শুনানি দ্রুত সম্পন্ন করে। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মামলায় অনাবশ্যক দেরি না হয় এবং ন্যায় প্রক্রিয়া দ্রুত হতে পারে। এর মধ্যে ট্রায়াল কোর্টের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকবে।

Leave a comment