লোকসভা সাংসদদের জন্য কংগ্রেসের তিন দিনের হুইপ জারি, সংসদে বাধ্যতামূলক উপস্থিতির নির্দেশ। পহেলগাম জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিন্দুর নিয়ে সংসদে গভীর আলোচনা হবে।
Congress Whip Monsoon Session: সংসদের বাদল অধিবেশনে জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিদেশনীতি নিয়ে বড় রাজনৈতিক সংঘাত দেখা যেতে পারে। কংগ্রেস তাদের লোকসভা সাংসদদের জন্য তিন দিনের হুইপ (Whip) জারি করেছে। এর অধীনে, সমস্ত সাংসদকে সোমবার থেকে টানা তিন দিন সংসদে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
হুইপ জারি করে কংগ্রেসের কৌশলগত সক্রিয়তা প্রদর্শন
কংগ্রেস পার্টি সংসদে আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলির দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনাগুলিতে পহেলগাম জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিন্দুরের মতো সংবেদনশীল বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কংগ্রেসের বিশ্বাস, এই বিষয়গুলিতে বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের কাছে জবাবদিহি চাওয়া উচিত।
হুইপের মাধ্যমে দল তাদের সমস্ত সাংসদকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাইছে। এই সময়ে, সাংসদদের কোনো অবস্থাতেই অনুপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
অপারেশন সিন্দুর এবং পহেলগাম হামলা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু
সংসদে যে দুটি বিষয়ে বিশেষ আলোচনার सहमति হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমটি হল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলা, যেখানে নিরাপত্তা কর্মীদের শাহাদাত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিষয়টি হল সম্প্রতি ইয়েমেনের হুথি (Houthis) বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindhur), যেখানে ভারতীয় সামুদ্রিক সুরক্ষার কৌশলগত ক্ষমতা প্রদর্শন করা হয়েছে।
এই দুটি ক্ষেত্রেই শাসক জোট এবং বিরোধী দলের মধ্যে তীব্র বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা (National Security) এবং বিদেশ নীতি (Foreign Policy) সম্পর্কিত এই বিষয়গুলোতে সরকারকে ঘেরাও করার কৌশল বিরোধী দল তৈরি করেছে।
সংসদের প্রথম সপ্তাহে হট্টগোল, এখন বিরোধী দল গম্ভীর
সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহটি বেশিরভাগ হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে গেছে। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (Special Intensive Revision – SIR) এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিরোধী দল ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। এখন বিরোধী দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা পহেলগাম এবং অপারেশন সিন্দুরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে গঠনমূলক আলোচনা করবে।
সদনে মুখোমুখি হবে সরকার ও বিরোধী দল
সোমবার লোকসভায় এবং মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মতো বিশিষ্ট নেতারা বক্তব্য রাখতে পারেন। একই সময়ে, কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ বিরোধীদের নেতৃত্ব দেবেন।
সূত্র মারফত জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই আলোচনায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন যাতে তার সরকারের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি এবং কৌশল দেশের সামনে তুলে ধরা যায়।