উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি কুমির এক মহিলার ওপর হামলা করে তাকে মেরে ফেলেছে। মহিলাটি গবাদি পশু চরাচ্ছিলেন, তখনই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও সামনে এসেছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে।
ঝোপ থেকে বেরিয়ে কুমিরের অতর্কিত হামলা
ঘটনাটি কাটারনিয়াঘাট বন অঞ্চলের चहलওয়া গ্রাম এবং নিഷাদনগর এলাকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫৫ বছর বয়সী লক্ষ্মীনা দেবী, স্বামী কাল্লু, গ্রামের কাছে সরযু খালের ধারে গবাদি পশু চরাচ্ছিলেন। তখনই ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি বিশাল কুমির তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গ্রামবাসীদের মতে, কুমিরটি মহিলাকে চোয়ালে ধরে খালে টেনে নিয়ে যায়।
মহিলার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে, কিন্তু ততক্ষণে কুমির মহিলাকে অনেক দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিল। জানা যায়, কুমিরটি মহিলাকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে চमन चौराहा বাজার পর্যন্ত নিয়ে যায়।
গ্রামবাসীদের সাহসিকতা
ঘটনার পরে প্রচুর সংখ্যক গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। তারা সাহস দেখিয়ে খালে নেমে কুমিরটিকে তাড়িয়ে দেয় এবং জালের সাহায্যে মহিলার মৃতদেহ তার চোয়াল থেকে উদ্ধার করে। তবে ততক্ষণে মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় लोगोंের বক্তব্য, তারা ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই জাল নিয়ে খালের দিকে ছুটে যায়। কুমির গ্রামবাসীদের দেখে পালাতে থাকে, তবে অনেক চেষ্টার পর মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঘটনার পরে খালের সেতুর ওপর মানুষের ব্যাপক ভিড় জমে যায় এবং পুরো এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে বন দফতর ও পুলিশ
খবর পেয়ে বন দফতরের রেঞ্জার আব্দুল সালাম ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে গ্রামবাসীরা স্থানীয় পুলিশকেও ঘটনাটি জানান।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর মৃত মহিলার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা শোকাহত এবং গ্রামের মানুষজনও আতঙ্কিত। গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে এলাকায় কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।