দক্ষিণ দিনাজপুর পুজো অনুদান: গঙ্গারামপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর পুজো অনুদান বিতরণের সময় ৯০টি চেকের মধ্যে ৭৬টি চেক বাউন্স হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই অনুদান নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন দায় এড়িয়ে চললেও, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তীব্র কটাক্ষ করেছেন। সমস্যার মূল কারণ হিসেবে চেকে লেখার অস্পষ্টতা ধরা হচ্ছে।
চেক বাউন্সের ঘটনা
গঙ্গারামপুর ব্লক ও পুরসভার মোট ৯০টি পুজো কমিটিকে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। পুজো উদ্যোক্তারা ৬ সেপ্টেম্বর চেক হাতে পান এবং বিভিন্ন তারিখে ব্যাঙ্কে জমা দেন। শুক্রবার সকালে বেশিরভাগ কমিটি ব্যাঙ্ক থেকে জানতে পারেন যে চেক বাউন্স হয়েছে। ব্যাঙ্ক অনুযায়ী, অনুদানের চেকগুলো ঠিকমত যাচাই না হওয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং জরিমানার টাকা (প্রতি চেক ২৬০ টাকা) কর্তন করা হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের ক্ষোভ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
উদ্যোক্তারা থানার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জেলা পুলিশ সুপার অফিসে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সমস্যা সমাধান হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উদ্যোক্তারা দ্রুত সমাধান চেয়েছেন।
মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও জেলাশাসক কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন এবং বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ হয়তো টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
সমস্যার কারণ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চেক বাউন্স হওয়ার প্রধান কারণ চেকে লেখার অস্পষ্টতা। সরকারি অনুদানের সমস্ত চেক দক্ষিণ দিনাজপুর ট্রেজারি অথরিটি থেকে পাশ করানো হয়েছিল।
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সরকারি পুজো অনুদানের চেক বাউন্স হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৯০টি চেকের মধ্যে ৭৬টি ব্যর্থ হওয়ায় পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়াচ্ছে, তবে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।