মধ্যপ্রদেশের দতিয়ায় বিসর্জন দিতে গিয়ে নদীতে ভেসে গেল ৬ তরুণী, নিখোঁজ ১

মধ্যপ্রদেশের দতিয়ায় বিসর্জন দিতে গিয়ে নদীতে ভেসে গেল ৬ তরুণী, নিখোঁজ ১

মধ্যপ্রদেশের দতিয়ায় মামুলিয়া বিসর্জনের সময় ৬টি মেয়ে প্রবল স্রোতে ভেসে যায়, যার মধ্যে ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১২ বছর বয়সী সিমরন এখনও নিখোঁজ, এবং পুলিশ-এনডিআরএফ-এসডিআরএফের উদ্ধার অভিযান চলছে।

দতিয়া: মধ্যপ্রদেশের দতিয়া জেলায় রবিবার সকালে ঐতিহ্যবাহী 'মামুলিয়া বিসর্জন' অনুষ্ঠানের সময় ৬ জন তরুণী সিন্ধ নদের প্রবল স্রোতে ভেসে যায়। স্থানীয়দের দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় পাঁচজন তরুণীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু ১২ বছর বয়সী সিমরন খটিক এখনও নিখোঁজ। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল নদীতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

দতিয়ায় বিসর্জনের সময় নদীতে ভেসে গেল মেয়েরা

ঘটনাটি দতিয়া জেলার সেওড়া এলাকার। পিতৃপক্ষের উপলক্ষে পালিত মামুলিয়া বিসর্জন অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতীকী শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দিয়ে সাজানো ডালপালা নদী বা পুকুরে বিসর্জন দেয়। রবিবার সকাল প্রায় সাড়ে সাতটায় এই ছয় তরুণী নদীর ধারে বিসর্জন দিচ্ছিল।

স্থানীয়রা জানিয়েছে যে হঠাৎ করে নদীর প্রবল স্রোত তরুণীদের ভাসিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং পাঁচজন তরুণীকে নিরাপদে তীরে তুলে আনে। এই ঘটনা সেখানে উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।

নিখোঁজ সিমরনের খোঁজ চলছে

পুলিশ জানিয়েছে যে ১২ বছর বয়সী সিমরন খটিক এখনও নিখোঁজ। নদীতে প্রবল স্রোত এবং গভীর জলধারার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসন দ্রুত এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দলগুলিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। ডুবুরিদের সংকুয়া ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে।

উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে যে নদীর ধারে কোনো কাঠামো বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না, যার ফলে উদ্ধার কাজ আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ নিরন্তর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত সিমরনের কোনো খোঁজ মেলেনি।

সিন্ধ নদে ধারাবাহিক দুর্ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ 

এটি সিন্ধ নদে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় ডুবে যাওয়ার ঘটনা। শনিবার উচার গ্রামের কাছে নদীতে স্নান করার সময় একজন নৌসেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। তার মৃতদেহ পরের দিন সকালে উদ্ধার করা হয়। এই ধরনের ধারাবাহিক ঘটনাগুলি এলাকায় নিরাপত্তার গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

স্থানীয়দের বক্তব্য, উৎসব এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় নদীতীরগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে না। ধারাবাহিক দুর্ঘটনাগুলি প্রশাসনের উপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার চাপ বাড়িয়েছে।

পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ

পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে যে উদ্ধার অভিযান চলছে এবং নদীতীরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের কাছে আবেদন করছে যে নদী ও পুকুরের আশেপাশে শিশুদের একা যেতে না দিতে।

স্থানীয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে বিসর্জন এবং নদীর ধারে অনুষ্ঠিত অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা তৈরি করা হবে। এই দুর্ঘটনা ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানগুলির সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে পুনরায় তুলে ধরেছে।

Leave a comment