দিল্লি-আলওয়ার নমো ভারত ট্রেন প্রকল্প: রুট, স্টেশন এবং সর্বশেষ খবর

দিল্লি-আলওয়ার নমো ভারত ট্রেন প্রকল্প: রুট, স্টেশন এবং সর্বশেষ খবর

দিল্লি থেকে আলওয়ারের মধ্যে প্রস্তাবিত নমো ভারত ট্রেন (Namo Bharat) প্রকল্প শীঘ্রই গতি পেতে চলেছে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (এনসিআরটিসি) এই করিডোরে অধিকাংশ স্টেশনের স্থান নির্ধারণ করেছে।

Namo Bharat Train: দিল্লি-এনসিআর এবং রাজস্থানের মধ্যে যান চলাচল এবং জনসংখ্যার চাপ কমানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই পরিকল্পনার অধীনে নমো ভারত ট্রেন (Namo Bharat Train) দিল্লি থেকে আলওয়ার পর্যন্ত চালানো হবে। এই রিজিওনাল র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম (RRTS) প্রোজেক্টটি তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হবে, যেখানে গুরুগ্রাম, ধারুহেড়া, বেহরোর এবং আলওয়ারের মতো শহরগুলি কভার করা হবে।

নমো ভারত ট্রেন প্রকল্প কী?

নমো ভারত ট্রেন, যাকে ভারতের প্রথম হাই-স্পিড রিজিওনাল রেল নেটওয়ার্ক বলা হচ্ছে, ১৬০ কিমি/ঘণ্টা সর্বোচ্চ গতি এবং গড়ে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলবে। দিল্লি থেকে আলওয়ারের মধ্যে মোট ১৯টি স্টেশন তৈরি করা হবে, যেখানে প্রতি ১০ মিনিটে ট্রেন পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই সিস্টেমটি শুধু যাত্রাকে দ্রুত করবে না, দিল্লি এবং আশেপাশের অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ট্র্যাফিক এবং জনসংখ্যার চাপও কমাবে।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়টি দিল্লি থেকে গুরুগ্রাম হয়ে শাহজাহানপুর-নিমrana-বেহরোর (SNB) পর্যন্ত তৈরি করা হবে। এই পর্যায়টি প্রায় ১০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। এটি দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে (NH-48)-এর সমান্তরালে তৈরি করা হবে যাতে যাতায়াতে সুবিধা হয় এবং হাইওয়ের উপর চাপ কমে।

উদ্যোগ বিহারে স্টেশন লোকেশন নিয়ে বিতর্ক

এই महत्वाकांक्षी প্রকল্পে গুরুগ্রামের উদ্যোগ বিহার এলাকায় একটি স্টেশন প্রস্তাবিত। এনসিআরটিসি (NCRTC) এই স্টেশনটি শঙ্কর চৌকের কাছে বানানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু, এইচএসআইআইডিসি (HSIIDC) এর বিরোধিতা করছে। এইচএসআইআইডিসি-র বক্তব্য, শঙ্কর চৌকে আগে থেকেই ট্রাফিকের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে।

এছাড়াও, দিল্লি মেট্রোরও একটি স্টেশন এখানে প্রস্তাবিত, যে কারণে ট্র্যাফিক আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় স্টেশনের জন্য বিকল্প স্থান খোঁজা হচ্ছে।

লোকেশন নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠিত

স্টেশনের ফাইনাল লোকেশন নির্ধারণের জন্য হরিয়ানার টাউন এন্ড কান্ট্রি প্ল্যানিং বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের अध्यक्षताয় একটি উচ্চ स्तरीय কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে গ্রাউন্ড লেভেলে কাজ শুরু করা যায়। এইচএসআইআইডিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ যশ গর্গ জানিয়েছেন, কমিটি সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।

দিল্লি-আলওয়ার RRTS প্রকল্পের জন্য গ্রাউন্ড প্রস্তুতি এক বছর আগে শুরু হয়েছে। মাটির পরীক্ষা, বিদ্যুতের টাওয়ার স্থানান্তর, এবং ইউটিলিটি সার্ভে (যেমন জলের পাইপলাইন, স্যুয়ারেজ লাইন, টেলিফোন কেবল ইত্যাদি) আগেই হয়ে গেছে। স্টেশনটির জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারিত হলেই কেন্দ্র সরকার নির্মাণ কাজের সবুজ সংকেত দেবে।

গুরুগ্রাম কী সুবিধা পাবে?

গুরুগ্রামের মতো কর্পোরেট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে কর্মরত হাজার হাজার মানুষ এখন দিল্লি, ধারুহেড়া বা আলওয়ার থেকে আরামে আপ-ডাউন করতে পারবে। এতে রিয়েল এস্টেটও বাড়বে এবং শহরগুলোতে ভিড় কমবে। দিল্লি মেট্রোর সঙ্গে এই ট্রেনের সাইবার সিটি এবং হিরো হোন্ডা চৌকের কাছে কানেক্টিভিটির জন্য ইন্টারচেঞ্জ স্টেশনও তৈরি করা হবে।

পর্যায়-ভিত্তিক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা

  • প্রথম পর্যায়: দিল্লি থেকে শাহজাহানপুর-নিমрана-বেহরোর (SNB) – ১০৬ কিমি
  • দ্বিতীয় পর্যায়: বেহরোর থেকে সোতানালার দিকে সম্প্রসারণ
  • তৃতীয় পর্যায়: সোতানালা থেকে আলওয়ারের দিকে সম্প্রসারণ

প্রথম পর্যায়ে দিল্লি থেকে ধারুহেড়া পর্যন্ত একটি বিকল্প পরিকল্পনা বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ সর্বাধিক যাত্রী চলাচল এই অংশে কেন্দ্রীভূত। সরকারের বিশ্বাস, এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পরে দিল্লি এবং গুরুগ্রামে বসবাসের চাপ কম হবে, কারণ এখন মানুষ আলওয়ার, ধারুহেড়া এবং বেহরোরের মতো শহরে সস্তায় বাড়ি নিয়ে দিল্লি-এনসিআরে কাজের জন্য সহজেই আসা-যাওয়া করতে পারবে।

Leave a comment