দিল্লিতে বেশ কয়েকটি স্কুল ও সরকারি ভবনকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ ও সাইবার দল তদন্তে নেমেছে। আপ (AAP) কেজরিওয়ালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে বেশ কয়েকটি স্কুল ও সরকারি ভবনকে লাগাতার বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি (threat) মেলার পর রাজধানীতে নিরাপত্তা উদ্বেগ বেড়েছে। শনিবারও বেশ কয়েকটি স্কুলে হুমকি ভরা ইমেল (email) পাঠানো হয়েছে, যার পর প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ এই হুমকি ভরা ইমেলগুলির তদন্তে (investigation) নেমেছে। স্কুলগুলিতে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং শিশুদের অভিভাবকরা চিন্তিত।
কেজরিওয়াল গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন
আম আদমি পার্টির (AAP) জাতীয় আহ্বায়ক এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (X)-এ লিখেছেন যে দিল্লির স্কুলগুলিকে বারবার বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু গত এক বছরে কাউকে ধরা বা ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। কেজরিওয়াল বলেছেন যে অভিভাবকরা প্রতিদিন ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন এবং শিশুদের সুরক্ষার জন্য সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে
আপ-এর আনুষ্ঠানিক পোস্টে বলা হয়েছে যে লাগাতার এমন হুমকিতে রাজধানীতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তা সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। দলটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) কাছে এই বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে এবং দোষীদের ধরার দাবি জানিয়েছে।
অভিভাবকদের মধ্যে ভয়
হুমকি মেলার পর বেশ কয়েকটি স্কুল নিরাপত্তার কারণে সাময়িকভাবে পঠনপাঠন বন্ধ করে দিয়েছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে দ্বিধা করছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বোমা নিস্ক্রিয়করণ দল (bomb disposal squad)-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।
প্রশাসন নিরাপত্তা বাড়িয়েছে
দিল্লি পুলিশ হুমকি ভরা ইমেলগুলির গুরুত্ব বিবেচনা করে সারা শহরে নজরদারি (surveillance) বাড়িয়েছে। পুলিশ এবং সাইবার (cyber) দল ইমেলের উৎস ও সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করছে। স্কুল, সরকারি ভবন এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং যেকোনো সম্ভাব্য বিপদ আটকাতে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।