দিল্লীর ওয়েলকাম এলাকায় একটি চারতলা বাড়ি ভেঙে ১১ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, ৪ জনের খোঁজ চলছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
দিল্লি বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে: শনিবার সকালে দিল্লির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ওয়েলকাম থানা এলাকায় একটি চারতলা বাড়ি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এই ঘটনাটি জনতা মজদুর কলোনিতে সকাল ৭টা নাগাদ ঘটে। স্থানীয়দের মতে, ওই সময়ে বাড়িতে অনেকে ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১১ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিলেন। এখন পর্যন্ত সাত জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও চারজন এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
দমকল বিভাগের তৎপরতা এবং চ্যালেঞ্জিং উদ্ধারকাজ
দমকল বিভাগের সাতটি গাড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং উদ্ধারকাজ দ্রুত গতিতে চলছে। কর্মকর্তাদের মতে, এলাকার সংকীর্ণ গলি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি করছে। তা সত্ত্বেও, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে। ফায়ার ব্রিগেডের সঙ্গে দিল্লি পুলিশ এবং এনডিআরএফ-এর দলও ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে।
পুরোনো এবং জরাজীর্ণ বাড়ি দুর্ঘটনার কারণ
ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, বাড়িটি বেশ পুরনো এবং জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। জানা গেছে, বাড়িটি প্রায় ৩৫ গজের ছিল এবং প্রায় ১৫ বছর পুরনো। ভেতরে দুটি পরিবার বসবাস করত, যাদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও ছিল। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
সিলমপুর এবং জনতা কলোনির সংযোগ
এই ঘটনাটি সিলমপুর এলাকার জনতা কলোনির ৫ নম্বর গলির ঘটনা বলে জানা গেছে। এখানকার গলিগুলো খুবই সংকীর্ণ এবং উদ্ধারকারী দলের মেশিন নিয়ে কাজ করতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, উদ্ধার কাজে কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না।
এনডিআরএফ-এর দল ঘটনাস্থলে
উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করতে এনডিআরএফ-এর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এনডিআরএফ-এর কর্মীরা ক্রমাগত ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চাপা পড়া লোকেদের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া সাত জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অবস্থার ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
দিল্লিতে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিল মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির দয়ালপুর এলাকায় একটি চারতলা বাড়ি ভেঙে পড়েছিল, যাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাটি মুস্তাফাবাদ এলাকায় ঘটেছিল। তা সত্ত্বেও, জরাজীর্ণ এবং অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ
ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোক জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ দুটোই রয়েছে। অনেকের মতে, কলোনিতে এ ধরনের দুর্বল ও অবৈধ অনেক বাড়ি তৈরি হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন সময় থাকতে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। স্থানীয় কাউন্সিলর এবং বিধায়কদের প্রতিও মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।