প্রবর্তন निदेशालय (Enforcement Directorate) सहारा গ্রুপের প্রাক্তন ডিরেক্টর অনিল আব্রাহাম এবং সম্পত্তি ব্রোকার জিতেন্দ্র প্রসাদকে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পত্তি বিক্রি এবং জনগণের অর্থের হেরাফেরির অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডি (ED)-র তদন্ত এখনও চলছে।
কলকাতা: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর কলকাতা শাখা আবারও सहारा গ্রুপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার এই পদক্ষেপের আওতায় এসেছেন সংস্থার পুরনো আধিকারিক এবং ব্রোকাররাও। ইডি सहारा গ্রুপের প্রাক্তন ডিরেক্টর অনিল আব্রাহাম এবং সম্পত্তি ব্রোকার জিতেন্দ্র প্রসাদকে গ্রেফতার করেছে। তাদের দু'জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, তারা সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশে বেআইনিভাবে সম্পত্তি বিক্রি করেছেন এবং অর্থ পাচার করেছেন।
ইডি সূত্রে খবর, এই গ্রেফতারি আসলে দীর্ঘদিন ধরে চলা অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি এবং সম্পত্তির অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত। सहारा গ্রুপের কাছে সাধারণ মানুষের ১ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে, যা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই অর্থের হেরাফেরি এবং অর্থ পাচারের কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান
প্রবর্তন निदेशालय (ইডি) কয়েকদিন আগে একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে, सहारा গ্রুপের কিছু সম্পত্তি বেআইনিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে এবং সেই বিক্রির টাকা অর্থ পাচারের মাধ্যমে সরানো হচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে, ইডি কলকাতার বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালায়। এই অভিযানে অনিল আব্রাহাম এবং জিতেন্দ্র প্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়। অনিল আব্রাহাম सहारा গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে গণ্য হতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, জিতেন্দ্র প্রসাদকে সম্পত্তি ব্যবসার পুরনো খেলোয়াড় হিসেবে জানা যায়, যিনি সাহারার অনেক ডিল-এ জড়িত ছিলেন।
সম্পত্তির অবৈধ বিক্রি এবং অর্থের হেরাফেরি
ইডি-র প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে যে, सहारा গ্রুপের কিছু মূল্যবান সম্পত্তি খুব কম দামে বিক্রি করা হয়েছিল এবং এই লেনদেন থেকে প্রাপ্ত অর্থ हवाला এবং অন্যান্য চ্যানেলের মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে অনিল এবং জিতেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সূত্রানুসারে, এই চুক্তিগুলো নথিতে কোথাও লিপিবদ্ধ ছিল না এবং সমস্ত লেনদেন নগদ অর্থে করা হয়েছিল। মানি ট্রেল (অর্থের গতিপথ) লুকানোর জন্য জাল কোম্পানি এবং বেনামী অ্যাকাউন্টের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল।
ইডি-র নজরে আরও আধিকারিক
ইডি এখন এই দুই অভিযুক্তকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যাতে এই কেলেঙ্কারির গভীরে পৌঁছানো যায়। সংস্থার সন্দেহ, এই মামলায় सहारा গ্রুপের আরও অনেক বড় আধিকারিক জড়িত থাকতে পারে। ইডি সূত্রে খবর, আগামী দিনগুলিতে আরও গ্রেফতারি হতে পারে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এই মামলাটিকে একটি বড় ধরনের অর্থ পাচার চক্র হিসেবে দেখছে। এর শিকড় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিস্তৃত হতে পারে এবং এটি শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
জনগণের অর্থ ফেরতের চেষ্টা
সাহারার কাছে দেশের লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারীর অর্থ পাওনা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও, এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা তাদের টাকা ফেরত পাননি। এমতাবস্থায়, ইডি-র এই পদক্ষেপকে একটি বড় আশা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা হয়তো এই কেলেঙ্কারির পর্দা উন্মোচন করবে এবং দোষীদের শাস্তি দেবে। ইডি-র উদ্দেশ্য, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শুধু অর্থ পাচার বন্ধ করা নয়, বরং সেই পথ খুঁজে বের করা, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বকেয়া টাকা উদ্ধার করা যায় এবং বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি দেওয়া যায়।