দিল্লিতে বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণে নতুন বিল: বিশদ তথ্য

দিল্লিতে বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণে নতুন বিল: বিশদ তথ্য

দিল্লি সরকার বেসরকারি স্কুলের স্বেচ্ছাচারী ফি বৃদ্ধি রোধ করতে বিধানসভায় 'ফি নির্ধারণ এবং স্বচ্ছতা বিল, 2025' পেশ করেছে।

দিল্লি: দিল্লি সরকার বেসরকারি স্কুলের স্বেচ্ছাচারী ফি বৃদ্ধি রোধ করার লক্ষ্যে ‘দিল্লি স্কুল শিক্ষা (ফি নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতা) বিল, 2025’ বিধানসভায় পেশ করেছে। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই শিক্ষামন্ত্রী আশিস সুদ এই বিলটি সভায় উত্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য হল শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং অভিভাবকদের স্বস্তি দেওয়া।

বেসরকারি স্কুলের স্বেচ্ছাচারী ফি বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ

বিগত বছরগুলোতে রাজধানী দিল্লিতে অনেক বেসরকারি স্কুল নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ফি বাড়িয়েছে। এতে অভিভাবকদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বেড়েছে এবং বারবার প্রতিবাদের আওয়াজ শোনা গেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং একটি সুশৃঙ্খল কাঠামো প্রয়োগ করতে এই বিল আনা হয়েছে।

তিন বছরে একবারই বাড়ানো যাবে ফি

বিলে বলা হয়েছে, কোনো বেসরকারি স্কুল তিন বছরে কেবল একবার ফি বাড়াতে পারবে। এর জন্য স্কুলগুলোকে ‘স্কুল স্তরের ফি নিয়ন্ত্রণ কমিটি’ গঠন করতে হবে। এই কমিটি ফি বৃদ্ধির যেকোনো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে এবং তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নির্ধারিত সীমার বেশি ফি নিতে পারবে না স্কুল

বিল অনুযায়ী, স্কুলগুলো নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ফি নিতে পারবে না। যদি কোনো স্কুল নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আইনে এও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, বারবার নিয়ম লঙ্ঘন করলে স্কুলের স্বীকৃতি পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে।

লঙ্ঘন করলে কঠোর শাস্তির বিধান

বিলে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। প্রথমবার নিয়ম ভাঙলে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। যদি স্কুল দ্বিতীয়বার বা বারবার নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাহলে জরিমানার পরিমাণ দুই থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এছাড়াও স্কুল পরিচালন পর্ষদের পদাধিকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা বা স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল করারও বিধান রয়েছে।

পূর্ববর্তী প্রভাব সহ আইন কার্যকর হবে

এই বিলটি 1 এপ্রিল, 2025 থেকে পূর্ববর্তী (retrospective) প্রভাব সহ কার্যকর করা হবে। এর মানে হল, এপ্রিল 2025 এর আগে থেকে লাগু করা কোনো অননুমোদিত ফি বৃদ্ধি এই আইনের আওতায় আসবে এবং তার ওপর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

Leave a comment