দিল্লি হাইকোর্ট শিশুদের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আদালত বলেছে যে, নাবালিকাদের মদ, মাদক, অস্ত্র চোরাচালান এবং হিংসাত্মক ঘটনায় ব্যবহার করা একটি গুরুতর অপরাধ। আদালত বয়সসীমা পুনর্বিবেচনা এবং পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে বৃহত্তর চক্রকে উন্মোচন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
দিল্লি: দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে যে অপরাধীরা শিশুদের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে মদ, মাদক, অস্ত্র এবং হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত করছে। শুনানির সময় আদালত জানায়, নাবালিকাকে অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী উভয়ই বানানো যায় না। নরেন্দ্র নামক এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবৈধ মদের চোরাচালান মামলায় এই বিষয়টি সামনে এসেছে। আদালত পুলিশকে কঠোরভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে যাতে সম্ভাব্য বৃহত্তর চক্রের পর্দাফাঁস করা যায়। হাইকোর্ট এই গুরুতর প্রবণতার ওপর ভিত্তি করে বয়সসীমা এবং আইনের সংশোধনের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টের উদ্বেগ
দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে যে অপরাধীরা নাবালক শিশুদের মদ, মাদক, অস্ত্র চোরাচালান এবং হিংসাত্মক ঘটনায় ব্যবহার করছে। আদালত একটি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করার সময় এই মন্তব্য করেছে, যেখানে নরেন্দ্র নামক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবৈধ মদের চোরাচালানে নাবালিকাকে ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। বিচারপতি গিরিশ কাঠপালিয়া বলেছেন, শিশুদের এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা মদের চোরাচালানের চেয়েও গুরুতর অপরাধ।
আদালত ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, ক্রমাগত মামলাগুলি সমাজকে নাবালকের বয়স নির্ধারণ এবং আইনের সংশোধনের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এই ধরনের ক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষা এবং অপরাধীদের দায়বদ্ধতা নির্ধারণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
নাবালকের বয়স নির্ধারণে পুনর্বিবেচনা জরুরি
দিল্লি হাইকোর্ট শুনানির সময় বলেছে যে, অপরাধীরা নাবালিকাদের শুধু মদ ও মাদক দ্রব্যের চোরাচালানেই নয়, বরং অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ সহ গুরুতর হিংসাত্মক ঘটনাতেও ব্যবহার করছে। আদালত বলেছে যে, এই প্রবণতা সমাজকে শিশুদের বয়স নির্ধারণ এবং আইনের সংশোধনের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে।
হাইকোর্ট জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশের हवाला দিয়ে বলেছে যে, নাবালিকাকে একই সাথে অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী উভয়ই বানানো যায় না। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত নরেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আদালত শিশুদের সুরক্ষা এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে।
পুলিশকে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করতে হবে
দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে যে, পুলিশের পক্ষে এটা খতিয়ে দেখা জরুরি যে শিশুদের ব্যবহার করে এমন কার্যকলাপের সঙ্গে কোনো বড় চক্র জড়িত আছে কিনা এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এই ধরনের অন্য কোনো মামলাও নথিভুক্ত আছে কিনা। আদালত বলেছে যে, মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, যাতে পুরো চক্রের পর্দাফাঁস করা যায়।
আদালত স্পষ্ট করেছে যে, এই ধরনের গুরুতর মামলায় আগাম জামিন দেওয়া उचित নয় এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। এতে স্পষ্ট হয় যে, শিশুদের সুরক্ষা এবং অপরাধীদের দায়বদ্ধতা নির্ধারণে প্রশাসনিক সতর্কতা জরুরি।