দিল্লিতে ডাক্তারকে মারধর করে ২০ লক্ষ টাকা আদায়, গ্রেফতার ৪ পুলিশকর্মী

দিল্লিতে ডাক্তারকে মারধর করে ২০ লক্ষ টাকা আদায়, গ্রেফতার ৪ পুলিশকর্মী

দিল্লি পুলিশ আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। রাজধানীতে কর্মরত এক মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর সহ চার পুলিশকর্মীকে এক ডাক্তারের সঙ্গে মারধর করে জোর করে ২০ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিভাগে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং দিল্লি পুলিশের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ছুটিতে থাকা সত্ত্বেও ডাক্তারের থেকে আদায়

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহিলা এসআই ছুটিতে ছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি অন্য তিন পুলিশকর্মীর সঙ্গে মিলিত হয়ে এক ডাক্তারকে জোর করে তুলে নিয়ে যান এবং তার সঙ্গে মারধর করেন। অভিযোগ, এই পুলিশকর্মীরা ডাক্তারকে হুমকি দেন যে টাকা না দিলে তাকে একটি জাল পেপার ফাঁস করার মামলায় ফাঁসানো হবে। ভয়ে ডাক্তার ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।

এই পুরো ঘটনাটি পশ্চিম বিহার (ইস্ট) থানা এলাকায় ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরেই দ্রুত পদক্ষেপ নেন, এফআইআর দায়ের করা হয় এবং চার পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা আবারও পুলিশের কার্যপদ্ধতি ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

মহিলা সাব-ইনস্পেক্টরের আত্মহত্যাতেও কেঁপে উঠেছিল পুলিশ মহল

এই ঘটনার আগে দিল্লি পুলিশের আরেক মহিলা সাব-ইনস্পেক্টরের আত্মহত্যার খবরে বিভাগ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ২৯ বছর বয়সী সবিতা, যিনি আমান বিহার থানায় কর্মরত ছিলেন, তিনি রোহিনী সেক্টর-১১-এ নিজের বাড়িতে পাখার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তিনি মূলত হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশ ২৫ জুলাই আত্মহত্যার খবর পায়। সবিতার ভাই যখন তাকে দেখতে যান, তখন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তিনি জাল ভেঙে গেট খোলেন এবং দেখেন যে সবিতা পাখার সঙ্গে ঝুলছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মৃতদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

সবিতা ২০২১ ব্যাচের আধিকারিক ছিলেন। আত্মহত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পারিবারিক চাপ, ডিউটির চাপ এবং মানসিক অবস্থা সহ প্রতিটি দিক থেকে তদন্ত করছে।

Leave a comment