ঢাকা বিমান দুর্ঘটনা: ক্ষতিগ্রস্তদের সেবায় ভারত, চীন ও সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিমের প্রতি ইউনুসের কৃতজ্ঞতা

ঢাকা বিমান দুর্ঘটনা: ক্ষতিগ্রস্তদের সেবায় ভারত, চীন ও সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিমের প্রতি ইউনুসের কৃতজ্ঞতা

ঢাকা বিমান দুর্ঘটনার পর ভারত, চীন ও সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিমগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা করে। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস ভারতীয় চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান এবং দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার কথা বলেন।

Mohammad Yunus: বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন যে ঢাকা বিমান দুর্ঘটনার শিকারদের সেবায় ভারতীয় চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। তাঁর এই বক্তব্য শুধু একটি আনুষ্ঠানিক কৃতজ্ঞতা নয়, বরং সংকটের মুহূর্তে ভারত ও অন্যান্য বন্ধু দেশগুলোর মানবিক চেতনা ও সহযোগিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন।

ঢাকায় কী ঘটেছিল

গত সপ্তাহে ঢাকায় একটি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে অনেক যাত্রী আহত হন এবং কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটে। এই ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় উদ্বেগ ও শোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে ভারত, চীন ও সিঙ্গাপুরের মেডিকেল টিমগুলো দ্রুত সাড়া দেয় এবং বাংলাদেশে পৌঁছে আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করে।

ইউনুসের 'আন্তরিক ধন্যবাদ' জ্ঞাপন

মোহাম্মদ ইউনুস একটি বিশেষ বৈঠকে ভারত, চীন ও সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতে তিনি বলেন যে এই মেডিকেল টিমগুলো শুধু তাদের দক্ষতার জোরে নয়, বরং আন্তরিকতা নিয়ে এসেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ডাক্তাররা শুধু পেশাদার নন, তাঁরা মানবতার সবচেয়ে বড় সেবক।

স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্রুত সেবার প্রশংসা

ইউনুস বলেন, চিকিৎসা পেশাজীবীদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সেবা সংকটের সময়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। এই চিকিৎসক ও নার্সরা দিনরাত এক করে আহতদের সেবা করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে চিকিৎসা সেবা সীমান্তের ঊর্ধ্বে।

প্রতিনিধিদলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

রবিবার অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে ভারত থেকে চারজন, সিঙ্গাপুর থেকে দশজন এবং চীন থেকে আটজন চিকিৎসা পেশাজীবী অংশ নেন। ইউনুস সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন যে এ ধরনের ঘটনা আমাদের শেখায় যে দুর্যোগের সময় সহযোগিতা এবং মানবিক মূল্যবোধের কতটা প্রয়োজন। তিনি এই সাক্ষাৎকে ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।

দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের আকাঙ্ক্ষা

অধ্যাপক ইউনুস আহ্বান জানান যে এই সংকটের সময়ে যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে, তা যেন শুধু একটি ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। তিনি চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা বিনিময় এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর কথা বলেন। তাঁর বিশ্বাস, এই ধরনের অংশীদারিত্ব দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

জনস্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা জরুরি

ইউনুস আরও জোর দেন যে জনস্বাস্থ্য এবং জরুরি অবস্থার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি দেশের প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। এর জন্য আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভারতের মতো বৃহৎ এবং প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম একটি মেডিকেল শক্তির সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের জন্য উপকারী হবে।

এই বৈঠকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ডাক্তারদের কোনো সীমা নেই। তিনি বলেন, এই সংকট আবারও প্রমাণ করেছে যে চিকিৎসা সেবা শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক কর্তব্যও।

Leave a comment