ধর্মান্তকরণ চক্রের মূল হোতা জামালুদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবার কাছ থেকে ATS-এর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা গেছে যে, ছাঙ্গুর বাবা একটি সুসংগঠিত কোডওয়ার্ড সিস্টেম ব্যবহার করত, যাতে তার নেটওয়ার্কের কার্যকলাপ গোপন থাকে এবং বাইরের কেউ বুঝতে না পারে।
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (ATS) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর যৌথ তদন্তে একটি অবৈধ ধর্মান্তকরণ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে, যার মূল হোতা হল জামালুদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা। এই চক্রটি তরুণী এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির লোকেদের কোডওয়ার্ডের মাধ্যমে প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তরিত করত।
'মিট্টি পলটনা', 'কাজল করনা', এবং 'দর্শন'-এর মতো শব্দ ব্যবহার করে ছাঙ্গুর বাবা তার নেটওয়ার্কে পরিকল্পনা চালাত, যাতে বাইরের লোকেরা তাদের কথোপকথন বুঝতে না পারে। কিন্তু এখন ATS-এর তদন্তে এই কোডওয়ার্ডগুলির পর্দা ফাঁস হয়েছে, এবং পুরো জাল প্রকাশ্যে এসেছে।
কোডওয়ার্ডের ভাষায় চলত ধর্মান্তকরণের ব্যবসা
ATS সূত্রে খবর, ছাঙ্গুর বাবা ধর্মান্তকরণের জন্য বিশেষ কোডওয়ার্ড ব্যবহার করত:
- ‘মিট্টি পলটনা’ – ধর্ম পরিবর্তন করানো
- ‘কাজল করনা’ – মানসিকভাবে প্রভাবিত করা
- ‘দর্শন’ – বাবার সঙ্গে দেখা করানো (ব্রেইনওয়াশের অংশ)
- ‘প্রজেক্ট’ – কোনও মেয়েকে টার্গেট করা
এই শব্দগুলির মাধ্যমে সে তার সঙ্গীদের নির্দেশ দিত। মেয়েদের বিবাহ, চাকরি, স্কলারশিপ এবং বিদেশ পাঠানোর স্বপ্ন দেখিয়ে মানসিকভাবে দুর্বল করা হত।
খ্রিস্টান মিশনারিদের সঙ্গেও ছিল যোগাযোগ
ATS-এর জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে যে, ছাঙ্গুর বাবার কিছু খ্রিস্টান মিশনারিদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল, বিশেষ করে নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন সাতটি সংবেদনশীল জেলায়। মিশনারিদের স্বেচ্ছাসেবকদের টাকা দিয়ে সে দুর্বল, দলিত এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির তথ্য সংগ্রহ করত। এরপর সেই পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করে, অথবা অসুস্থতা ও শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের জন্য রাজি করানো হতো। পুরো নেটওয়ার্কের পরিচালনা ব্যবস্থা একটি চেইন সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে ছিল, যেখানে প্রচারক, পাদ্রী এবং ফিল্ড কর্মী অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ছাঙ্গুর বাবা প্রায়ই একটি তথাকথিত 'সাকসেস স্টোরি'-র উল্লেখ করত। সে বলত যে, “নীতু ওরফে নাসরিন এবং নবীন ওরফে জামালুদ্দিন আগে সিন্ধি ছিল, কিন্তু ইসলাম গ্রহণ করার পর তাদের জীবন বদলে গেছে। এখন তাদের আলিশান বাড়ি, দামি গাড়ি এবং প্রচুর টাকা আছে। তোমরাও ইসলাম গ্রহণ করো, তোমাদেরও ভাগ্য বদলে যাবে।"
এই ফর্মুলাটি বিশেষ করে গরিব এবং বঞ্চিত পরিবারগুলির উপর মনস্তাত্ত্বিকভাবে কাজ করত। ধর্মান্তকরণের পর নতুন পরিচয়, নতুন নাম এবং নতুন জীবন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো।
ইডি শুরু করেছে আর্থিক তদন্ত
অবৈধ অর্থায়ন এবং সম্পত্তির তথ্য জানার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এই বিষয়ে সক্রিয় হয়েছে। সূত্রানুসারে, ছাঙ্গুর বাবার ঘনিষ্ঠ নবীন রোহরার সাতটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে, যেখানে আরও ১৮টি অ্যাকাউন্টের তদন্ত এখনও চলছে। ED, बलरामপুর, बहराইচ, श्रावस्ती এবং गोंडा জেলাগুলিতে বাবা ও তার সহযোগীদের নামে নিবন্ধিত সম্পত্তির বিবরণ সংশ্লিষ্ট উপ-নিবন্ধক কার্যালয়গুলি থেকে চেয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে এই সম্পত্তিগুলির উপর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।