দুমকায় এক নাবালিকা ট্রাকে করে যাওয়ার সময় চার-পাঁচজন যুবক কর্তৃক গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে। তার প্রেমিককে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে।
দুমকা: ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় সোমবার (২৫শে আগস্ট, ২০২৫) এক নাবালিকা আদিবাসী মেয়ের সঙ্গে ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কাঠিকুন্ড থানা এলাকার গুমরা জঙ্গলে চার-পাঁচজন যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং তার প্রেমিককেও মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে মেয়েটিকে দুমকা সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ত্রিপুরাণী কুমার জানিয়েছেন যে, মেয়েটি বিশেষভাবে দুর্বল আদিবাসী গোষ্ঠীর (PVTG) অন্তর্ভুক্ত। পুলিশ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে এবং শীঘ্রই অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছে।
গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে ট্রাকে করে দুমকা যাচ্ছিল। পথে চার-পাঁচজন যুবক তাদের আটকায়। অভিযোগ, যুবকেরা মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে এবং তার প্রেমিককে মারধর করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, মেয়েটি সকালে থানায় এসে ঘটনার কথা জানায়। যেহেতু সে আদিবাসী ভাষায় কথা বলছিল, তাই অভিযোগটি সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য এফআইআর দায়ের করার আগে একজন দোভাষীর ব্যবস্থা করতে হয়।
গণধর্ষণ মামলায় পুলিশের পদক্ষেপ ও জিজ্ঞাসাবাদ
কাঠিকুন্ড থানার পুলিশ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে চারজন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে শীঘ্রই সকল অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।
দুমকার পুলিশ সুপার পীতাম্বর সিং খেরওয়ার মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে, ভুক্তভোগীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের শীঘ্রই বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে।
নিরাপত্তা ও সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন
আদিবাসী ও দুর্বল সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখা জরুরি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ভুক্তভোগীর জীবনেই গভীর প্রভাব ফেলে না, বরং পুরো সমাজে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি তৈরি করে।
পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করা, গ্রামবাসীদের সচেতন করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এই ঘটনা সমাজে সতর্কতা ও নিরাপত্তার গুরুত্বকেও তুলে ধরে।