ট্রেন ভ্রমণে টাটকা খাবারের খোঁজে – প্যান্ট্রি নয় ব্যাগে রাখুন ঘরোয়া ৫ পদ!

ট্রেন ভ্রমণে টাটকা খাবারের খোঁজে – প্যান্ট্রি নয় ব্যাগে রাখুন ঘরোয়া ৫ পদ!

দীর্ঘ ভ্রমণে বেরোলে সবচেয়ে বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় – খাবার! ট্রেনের প্যান্ট্রি ফুড নিয়ে আজকাল অনেকেরই ভরসা নেই। একদিকে স্বাস্থ্য-সচেতনতা, অন্যদিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রশ্নে বেশিরভাগ যাত্রীই এখন বাইরের খাবারের চেয়ে বাড়ির রান্না করা পদ সঙ্গে নিতে চাইছেন। কিন্তু সমস্যা হল—কোন খাবার প্যাক করলে তা নষ্ট হবে না এবং একটানা ১-২ দিন খাওয়া যাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক ভ্রমণের জন্য পাঁচটি সেরা ‘হোমমেড’ খাবারের কথা, যা টাটকাও থাকবে, আবার সুস্বাদুও।

 লুচি-আলুর তরকারি – ভ্রমণের ক্লাসিক কম্বো

বাংলার ঘরে ঘরে ভ্রমণের সঙ্গী লুচি আর শুকনো আলুর তরকারি। তেল বেশি দিয়ে রান্না করলে এবং ঝোল কম রাখলে এই তরকারি সহজে নষ্ট হয় না। লুচি বা পুরি শুকনো থাকায় দীর্ঘক্ষণ খাওয়া যায়। শিশু থেকে বয়স্ক, সবার কাছেই এই পদ প্রিয়। তাই ট্রেন ভ্রমণে সকালের নাশতা বা ডিনারের জন্য এটি হতে পারে নির্ভরযোগ্য খাবার।

খাস্তা কচুরি – মজার স্বাদ, দীর্ঘস্থায়ী টাটকা ভাব

ভ্রমণের সময় ব্যাগে রাখা যায় মুচমুচে কচুরি। সঠিকভাবে ভেজে নিলে এতে আর্দ্রতা জমে না, ফলে কয়েক ঘণ্টা এমনকি পুরো একদিনও টাটকা থাকে। কচুরির ভেতরে মশলাদার মটর বা ডালের পুর ব্যবহার করা যায়, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ভর্তা শুকনো হয়। সঙ্গে যদি আচার বা শুকনো চাটনি থাকে, তাহলে স্বাদে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।

 পরোটা – ভিন্ন ধাঁচের স্বাস্থ্যকর বিকল্প

সাধারণ আলু বা পনির পরোটার বদলে ভ্রমণের জন্য বেছে নিতে পারেন শুকনো মেথি-আলু বা ছাতুর পরোটা। এতে আর্দ্রতা কম থাকে এবং দ্রুত নষ্ট হয় না। সামান্য ঘি বা তেলে ভালো করে ভেজে প্যাক করলে এগুলি ১-২ দিন অনায়াসেই খাওয়া যায়। সকালে বা দুপুরে পেট ভরানো মিল হিসেবে পরোটা হতে পারে সেরা অপশন।

 শুকনো ভাজা সবজি – হালকা, হজমে সহজ

ভ্রমণে অতিরিক্ত ভারী খাবারের পরিবর্তে হালকা ভাজা সবজি দারুণ কাজে লাগে। যেমন—ঢেঁড়স ভাজা, আলুর চিপস বা করলার কুঁচি ভাজা। এগুলি বেশি তেলে ভালো করে ভাজলে একদিন সহজেই টাটকা থাকে। লুচি বা পরোটার সঙ্গে মিলিয়ে খেলে স্বাদও বাড়ে, আবার খাওয়ার পর পেট ভারীও লাগে না।

 লেবু ভাত – ভ্রমণের হালকা কিন্তু মজাদার পদ

যাঁরা ভাত ছাড়া চলতে পারেন না, তাঁদের জন্য আদর্শ বিকল্প হল লেবু ভাত বা লেমন রাইস। সামান্য লেবুর রস, কারিপাতা আর বাদাম দিয়ে বানানো এই খাবার হালকা এবং স্বাদে অসাধারণ। ট্রেন যাত্রায় দুপুর বা রাতের জন্য এটি রাখা যায়। এতে পেট ভরবে, আবার খাবারের টক-মিষ্টি স্বাদ ভ্রমণের আনন্দও বাড়িয়ে দেবে।

কেন ঘরোয়া খাবারেই ভরসা করবেন?

ট্রেনের যাত্রায় বাইরের খাবার অনেক সময়ই হজমে সমস্যা তৈরি করে। বিশেষ করে শিশু বা বয়স্কদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই ব্যাগে গুছিয়ে নেওয়া বাড়ির রান্না খাবার শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, বরং পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে খাওয়ার আনন্দও এনে দেয়।

Leave a comment