কলা, রসুন আর টক দইয়ে নিয়ন্ত্রণে হাই ব্লাড প্রেশার! জানুন কার্যকর ডায়েট

কলা, রসুন আর টক দইয়ে নিয়ন্ত্রণে হাই ব্লাড প্রেশার! জানুন কার্যকর ডায়েট

হাই ব্লাড প্রেশার ডায়েট: উচ্চ রক্তচাপ বর্তমানে এমন এক জীবনধারা-সংক্রান্ত সমস্যা, যা কোটি মানুষের দেহে নীরবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রার মতে, শুধুমাত্র ওষুধ নয়, খাদ্যতালিকায় সঠিক উপাদান যুক্ত করলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রতিদিনের খাবারে কলা, রসুন, টক দই, টমেটো ও চুকন্দর রাখলে ব্লাড প্রেশার দ্রুত স্বাভাবিক হয় এবং হৃদ্‌যন্ত্রও থাকে সুস্থ।

কলা: প্রাকৃতিক পটাশিয়ামে রক্তচাপের ভারসাম্য

কলা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তনালী শিথিল করতে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমিয়ে আনে। প্রতিদিন সকালে বা বিকেলে একটি কলা খেলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ক্লান্তি দূর হয়।

রসুন: প্রাকৃতিক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক

রসুনে থাকা অ্যালিসিন যৌগ রক্তনালীর প্রসারণ ঘটিয়ে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করে। সকালে খালি পেটে ১–২ কোয়া কাঁচা রসুন খেলে দ্রুত রক্তচাপ কমে আসে। এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে।

টমেটো ও চুকন্দর: হৃদরোগের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক

টমেটোয় থাকা লাইকোপিন ও চুকন্দরে থাকা নাইট্রেট শরীরে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস চুকন্দরের রস পান করা বা সালাডে টমেটো যুক্ত করলে রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমে।

টক দই ও ছানার জলে ক্যালসিয়াম-ম্যাগনেশিয়ামের জাদু

কম চর্বিযুক্ত দই বা বাটারমিল্কে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এতে ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে এবং ব্লাড প্রেশার স্বাভাবিক থাকে। গ্রীষ্মে প্রতিদিনের দুপুরের খাবারে এক বাটি টক দই রাখা অভ্যাস করুন।

তুলসি ও নারকেল জল: ভেতর থেকে প্রশান্তি ও শক্তি

তুলসীপাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে, আর নারকেল জলে থাকা পটাশিয়াম ও ইলেক্ট্রোলাইট রক্তচাপ দ্রুত স্থিতিশীল করে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস নারকেল জল বা কয়েকটি তুলসী পাতা খেলে শরীরে স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে।

হাই ব্লাড প্রেশার কমাতে ওষুধের পাশাপাশি দরকার সঠিক খাবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা, রসুন, টক দই, টমেটো, চুকন্দর ও নারকেল জল স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। নিয়মিত এই খাবারগুলো খেলে ওষুধের উপর নির্ভরতা কমে যায়।

Leave a comment