প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের জীবনাবসান

প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের জীবনাবসান

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক মঙ্গলবার দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে মারা গেছেন। ৭৯ বছর বয়সী মালিক বেশ কিছুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন এবং আরএমএল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল।

Satyapal Malik Death: দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক মঙ্গলবার মারা গেছেন। তাঁর বয়স ছিল ৭৯ বছর এবং তিনি দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া (RML) হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কিডনি সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন

১১ মে সত্যপাল মালিককে প্রস্রাব সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আরএমএল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসার সময় তাঁর কিডনির অবস্থা গুরুতর হয়ে গেলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে প্রায় তিন মাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে কিন্তু অবশেষে মঙ্গলবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তাঁর মৃত্যুর খবর তাঁর অফিসিয়াল এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে, এরপর নেতা, অনুরাগী এবং সাধারণ মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক জীবন: একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল

সত্যপাল মালিকের রাজনৈতিক জীবন প্রায় পাঁচ দশক ধরে বিস্তৃত ছিল। তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন:

  • বিহারের রাজ্যপাল (২০১৭)
  • জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল (২০১৮–২০১৯)
  • গোয়ার রাজ্যপাল (২০১৯–২০২০)
  • মেঘালয়ের রাজ্যপাল (২০২০–২০২২)

তাঁর কার্যকালে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ছিল, বিশেষ করে যখন তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন।

অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

সত্যপাল মালিক সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন যখন কেন্দ্র সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিলের ফলে রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা समाप्त হয়ে যায় এবং জম্মু ও কাশ্মীর দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে—জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে—বিভক্ত হয়ে যায়। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সত্যপাল মালিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেছিলেন যে এই পরিবর্তন রাজ্যের উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ হ্রাস এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য জরুরি ছিল।

সত্যপাল মালিক একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির স্পষ্টভাষী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি বহুবার সরকারের নীতিগুলির সমালোচনা করতেও পিছপা হননি। তা সে কৃষকদের সমস্যা হোক বা বেকারত্বের প্রশ্ন, তিনি স্বাধীনভাবে তাঁর মতামত রেখেছেন। তাঁর বক্তব্য প্রায়শই শিরোনামে থাকত।

Leave a comment