গাজায় খাদ্যকেন্দ্রে হামলা: ৯১ জনের মৃত্যু, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

গাজায় খাদ্যকেন্দ্রে হামলা: ৯১ জনের মৃত্যু, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় খাদ্য কেন্দ্রে ৯১ জনের মৃত্যু, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফিলিস্তিনিদের। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গাজায় ট্রাম্পের বিশেষ দূত।

Gaza Food Crisis: গাজা ভূখণ্ডে মানবিক সংকট ক্রমশ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র এবং সাহায্য পাওয়ার চেষ্টায় ৯১ জন ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অভিযোগ, এই মৃত্যুর পেছনে ইজরায়েলি সেনার হিংসা দায়ী। মন্ত্রকের দাবি, যখন মানুষ খাবার নেওয়ার জন্য কেন্দ্রগুলোর দিকে যাচ্ছিল, তখন তাদের গুলি করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার ইজরায়েলের

ইজরায়েলি প্রশাসন এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। ইজরায়েলের দাবি, তাদের সেনা শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয় এবং সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। যদিও, স্থানীয় ঘটনা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এই দাবির ওপর প্রশ্ন তোলে।

গাজার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন ট্রাম্পের দূত

পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে গাজায় পাঠিয়েছেন। উইটকফ বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে পৌঁছন, যেখানে তিনি গাজায় মানবিক সাহায্য বিতরণের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতি

হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে উইটকফ এই সফরে গাজার বিভিন্ন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তাঁর সঙ্গে ইজরায়েলে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও থাকবেন। দুই আধিকারিক শুক্রবার সেই স্থানগুলোতে যাবেন, যেখানে সম্প্রতি ভিড় এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।

জিকিম চৌমাথায় হুড়োহুড়ি

বুধবার উত্তর গাজার জিকিম চৌমাথায় সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে, যেখানে খাদ্য বিতরণের জন্য অপেক্ষা করা কয়েকশো মানুষের মধ্যে হঠাৎ হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে ৫৪ জন মারা যান। বলা হয়েছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে দেয়।

৬০০ জনের বেশি আহত

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, এই ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র মৃতের সংখ্যাই নয়, ৬০০ জনের বেশি মানুষ আহতও হয়েছেন। সীমিত চিকিৎসা সুবিধার কারণে আহতরা দ্রুত চিকিৎসা পাচ্ছেন না, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

গাজায় খারাপ হতে থাকা মানবিক সংকট

গাজা আগে থেকেই যুদ্ধ এবং অবরোধের শিকার। বিদ্যুৎ, পরিষ্কার জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং খাদ্যের মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র অভাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে এই পরিস্থিতিতে দ্রুত উন্নতি না হলে আরও প্রাণহানি হতে পারে।

Leave a comment