গোরখপুর নগর নিগম পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে এক বিশাল পদক্ষেপ নিয়ে সারা দেশে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে। স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ ২০২৪-২৫-এ গোরখপুর "সফাই মিত্র সুরক্ষিত শহর" বিভাগে সারা দেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। এই কৃতিত্ব শুধু রাজ্যের নয়, দেশজুড়েও গর্বের বিষয়। এই উপলক্ষ্যে বুধবার নগর নিগম চত্বরে এক भव्य সম্মান समारोहের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ सफाई মিত্র ও কাউন্সিলরদের সম্মানিত করবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর আগমনকালে শহরবাসীকে ২৫২.৫০ কোটি টাকার ১৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপহারও দেওয়া হবে। এর মধ্যে আরবান ফ্লাড আর্লি warning সিস্টেমের মতো আধুনিক পদ্ধতির উদ্বোধনও রয়েছে, যা শহরের জলমগ্নতার সমস্যা মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
পরিচ্ছন্নতায় গোরখপুরের বড় পদক্ষেপ
গোরখপুর এবার ৩ থেকে ১০ লক্ষ জনসংখ্যার শহরগুলির মধ্যে চতুর্থ জাতীয় র্যাঙ্ক এবং রাজ্যস্তরে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। গত বছর গোরখপুরের জাতীয় র্যাঙ্কিং ছিল ২৪তম এবং রাজ্যে সপ্তম, যা এখন প্রথম স্থানে উন্নীত হয়েছে। এর পাশাপাশি গোরখপুর নগর নিগম গার্বেজ ফ্রি সিটির ফাইভ স্টার সার্টিফিকেশনেও স্থান পেয়েছে, যেখানে গত বছর এটিকে থ্রি স্টার ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল।
এই সাফল্যের श्रेय নগর নিগমের দল, सफाई কর্মীদের এবং সাধারণ জনগণের সহযোগিতা। গোরখপুর নগর নিগম सफाई ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি सफाई মিত্রদের সুরক্ষা ও সুবিধাটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যার ফলে এটি বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে।
আরবান ফ্লাড আর্লি warning সিস্টেমের উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আরবান ফ্লাড আর্লি warning সিস্টেমের উদ্বোধন করবেন। প্রায় ২৮.৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ব্যবস্থার অধীনে গোরখপুরের সমস্ত পাম্পিং স্টেশনকে সম্পূর্ণরূপে অটোমেটেড করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক নালাগুলিতে ১১০টি অটোমেটিক ওয়াটার লেভেল রেকর্ডার বসানো হয়েছে।
এই সিস্টেম জলস্তর ৮০ শতাংশে পৌঁছানো মাত্রই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে अलर्ट পাঠায়, যার ফলে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি, জ্বালানির অভাব এবং পাম্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত তথ্যও কর্মকর্তাদের কাছে সময় মতো পৌঁছে দেওয়া হয়। এর ফলে জলমগ্নতার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
উন্নয়ন কার্যের উপহার: ২৫২ কোটির ১৭৭টি প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজ গোরখপুরে ২৫২.৫০ কোটি টাকার ১৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলি শহরের মৌলিক সুবিধাগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে।
প্রধান উদ্বোধন প্রকল্পসমূহ
• সিএন্ডডিএস ইউনিট-৪২ দ্বারা ২.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আমওয়া অঞ্চলে অ্যানিমাল বার্থ কন্ট্রোল সেন্টার।
• সিএন্ডডিএস ইউনিট-১৪ দ্বারা স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অধীনে ২.০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগর নিগম চত্বরে ডিজিটাল লাইব্রেরীর নির্মাণ।
• উত্তর প্রদেশ জল নিগম নগরীয় দ্বারা ৩৫.৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়তাল সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প ফেজ-২ এর অধীনে ১৭০০ মিটার দীর্ঘ তাল ফ্রন্ট 'নয়া সাভেরা' ('নতুন ভোর')।
প্রধান শিলান্যাস প্রকল্পসমূহ
• উপবন প্রকল্পের অধীনে ৪.৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি পার্কের নির্মাণ।
• নতুন সৃষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে ১৫.৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা, নর্দমা ও নালার নির্মাণ।
• নতুন সৃষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি নতুন পার্ক তৈরি করা হবে।
• সুথনি ওয়েস্ট প্রসেসিং সিটি চত্বরে ৪.৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অ্যাডমিন ব্লকের নির্মাণ।
• उसी চত্বরে ১২.০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অভ্যন্তরীণ রাস্তা এবং নর্দমা-নর্দমার কাজ।
• রাজ্য স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অধীনে ২১.২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রান্সপোর্টনগর ও রানীডিহাতে জোনাল অফিসের নির্মাণ।
• নেহেরু পার্ক (লালডিগ্গী)-এর ২৬.৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যায়ন।
• মুখ্যমন্ত্রী বৈশ্বিক নগরোদয় প্রকল্পের অধীনে ২৪.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ার্কিং উইমেন হোস্টেল, বৈশ্বিক কমপ্লেক্স ও কো-ওয়ার্কিং স্পেস।
• নাকা ওভারব্রিজ থেকে হড়হওয়া ফটক রোড পর্যন্ত ১২.১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা চওড়া করা ও মজবুত করা।
• মুখ্যমন্ত্রী নগরীয় স্বল্প উন্নত মলিন বস্তি প্রকল্পের অধীনে ৬০.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা ও নর্দমা নির্মাণ।