জিএসটি শুল্ক হ্রাসের পর ভারতীয় শেয়ার বাজারে ব্যাপক উত্থান, সোনার দামও রেকর্ড স্পর্শ

জিএসটি শুল্ক হ্রাসের পর ভারতীয় শেয়ার বাজারে ব্যাপক উত্থান, সোনার দামও রেকর্ড স্পর্শ

জিএসটি (GST) শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তের পর ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ভারতীয় শেয়ার বাজারে जबरदस्त উত্থান দেখা গেছে। সেনসেক্স ৮১,৪৫৬ পয়েন্ট এবং নিফটি ২৪,৮৯০ পয়েন্টের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এফএমসিজি (FMCG), স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অটো সেক্টরে উত্থান দেখা গেছে। পাশাপাশি, সোনার দাম রেকর্ড $৩,৫৬৩ প্রতি আউন্স হয়েছে এবং এশীয় বাজারও চড়েছে।

আজকের শেয়ার বাজার: নয়া দিল্লিতে ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জিএসটি কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্তের প্রভাব ৪ সেপ্টেম্বর শেয়ার বাজারে স্পষ্ট দেখা গেছে। ট্যাক্স স্ল্যাব কমিয়ে কেবল ৫% এবং ১৮% করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে জিএসটি কমানোর ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএসই (BSE) সেনসেক্স ৮১,০৭৪-এ খুলে ৮১,৪৫৬ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে, যেখানে নিফটি ২৪,৮৯০-এর স্তরে লেনদেন করছে। এফএমসিজি (FMCG), স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসামগ্রী এবং অটোমোবাইল সেক্টরে তেজি দেখা গেছে। বিশ্বব্যাপীও ওয়াল স্ট্রিট এবং এশীয় বাজারগুলিতে मजबूती এসেছে, যেখানে সোনা নতুন রেকর্ড গড়েছে।

বাজার খোলার সাথে সাথেই দেখা গেল ঝলক

আজ বিএসই (BSE) সেনসেক্স ৮১,০৭৪.৯৭ পয়েন্টে খুলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ৮১,৪৫৬.৬৭ পর্যন্ত পৌঁছেছে। অন্যদিকে এনএসই (NSE) নিফটিও ইতিবাচক শুরু করেছে এবং ২৪,৮৯০.১৫ পয়েন্টের স্তরে লেনদেন করেছে। উৎসবের মরসুমের আগে এই পরিবর্তন বাজারকে নতুন দিক নির্দেশ দিয়েছে।

গতকাল ছিল নিস্তেজ পরিবেশ

৩ সেপ্টেম্বর বাজারে পতন দেখা গিয়েছিল। সেদিন সেনসেক্স ২০৬.৬১ পয়েন্ট কমে ৮০,১৫৭.৮৮-তে বন্ধ হয়েছিল। নিফটিও ৪৫.৪৫ পয়েন্ট পিছলে ২৪,৫৭৯.৬০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছিল। টানা দ্বিতীয় দিন এই পতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মুখে উদ্বেগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু আজ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে।

সোনার দামে উত্থান

বাজারের অনিশ্চয়তার প্রভাব সোনার উপর স্পষ্ট দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকেছিল এবং সোনার দাম বেড়ে $৩,৫৬৩ প্রতি আউন্সে পৌঁছে গেছে। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্তর।

মার্কিন বাজারের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

গতকাল মার্কিন শেয়ার বাজারে মিশ্র লেনদেন দেখা গেছে। গুগলের মূল সংস্থা আলফাবেটের শেয়ারে প্রায় ৮ শতাংশের উত্থান দেখা গেছে। কোম্পানি একটি আইনি মামলায় স্বস্তি পেয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব শেয়ারে দেখা গেছে। তবে, আমেরিকায় নতুন চাকরির সুযোগ কমেছে। জুলাই মাসে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার চাকরির ঘাটতি হয়েছে, যার ফলে মোট সুযোগ কমে ৭১ লক্ষ ৮১ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। এই দুর্বলতা বিনিয়োগকারীদের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে।

আমেরিকার দুর্বল কর্মসংস্থান তথ্যের কারণে এই আশা বেড়েছে যে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে। এই সম্ভাবনার ফলে এশীয় শেয়ার বাজারগুলিতেও তেজি দেখা দিয়েছে। জাপান, হংকং এবং কোরিয়ার বাজারগুলিতে मजबूती দেখা গেছে।

জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ফলে তেজি

জিএসটি কাউন্সিল দৈনন্দিন প্রয়োজন থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল সহ অনেক পণ্যের উপর কর কমিয়ে দিয়েছে। এখন কেবল দুটি স্ল্যাব থাকবে – ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের স্ল্যাবগুলি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে। এই পদক্ষেপে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শীর্ষ লাভজনক এবং ক্ষতিগ্রস্থ

আজকের লেনদেনে এফএমসিজি (FMCG) এবং অটো সেক্টরের কোম্পানিগুলির শেয়ারে जबरदस्त তেজি দেখা গেছে। ভোগ্যপণ্যের উপর কর কমার সুবিধা সরাসরি এই কোম্পানিগুলি পাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা সম্পর্কিত কোম্পানিগুলির শেয়ারও দ্রুত বেড়েছে।

অন্যদিকে, কয়লা এবং তামাক সম্পর্কিত কোম্পানিগুলির শেয়ারে পতন দেখা গেছে। কয়লার উপর কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে, যার ফলে কয়লা-ভিত্তিক শিল্পগুলির উপর চাপ বেড়েছে। তামাক এবং সিগারেট কোম্পানিগুলির উপর কর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে, যার প্রভাব তাদের শেয়ারের উপর পড়েছে।

Leave a comment