রাজস্থানে মৌসুমী বায়ুর দুটি ট্রাফ লাইন সক্রিয় থাকায় জয়সলমীর, বারমের এবং আরও ১৩টি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আটটি জেলায় স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জয়পুর: রাজস্থানের আবহাওয়া দপ্তর সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। দপ্তর অনুসারে, রাজ্যের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে মৌসুমী বায়ুর দুটি ট্রাফ লাইনের কারণে একটানা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর এবং গুজরাটের দিক থেকে আসা ট্রাফ লাইনগুলি রাজস্থানে মৌসুমী বায়ুকে সক্রিয় রেখেছে।
এর ফলে বারমের, জয়সলমীর, জালোর, बालोত্রা এবং সিরোহী সহ ১৩টি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর এই পাঁচটি জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট এবং বাকি আটটি জেলায় ইয়োলো অ্যালার্ট জারি করেছে। জেলা প্রশাসন নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আটটি জেলার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে, যদিও শিক্ষক ও কর্মীদের স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক।
বৃষ্টির কারণে স্কুল বন্ধ
বৃষ্টির সতর্কতার কারণে উদয়পুর (পৌর निगम এলাকা ব্যতীত), সলু্ম্বর, জালোর, ডুংগরপুর, সিরোহী, বারমের, জয়সলমীর এবং बालोত্রায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকবে। প্রশাসন জানিয়েছে যে এই পদক্ষেপ শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, বৃষ্টি-প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে মানুষকে নদী ও খালের কাছাকাছি না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন প্রভাবিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম এবং উদ্ধারকারী দলগুলিকে সক্রিয় করেছে। হঠাৎ বন্যা এবং জল জমে দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জয়পুর এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে রবিবার ভারী বৃষ্টি
রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বরও জয়পুর এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে একটানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর অনুসারে, মাউন্ট আবুতে ১৬০ মিমি, জশবন্তপুরায় ৫২ মিমি, হনুমানগড়ের টিব্বিতে ৩৯ মিমি এবং প্রতাপগড়ে ৩৬ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সিরোহী, বারমের, भरतपुर, উদয়পুর এবং চিত্তौड़গড় সহ একাধিক জেলায়ও ২০-৩০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।
এই একটানা বৃষ্টি অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করেছে। নিচু এলাকায় জল জমে যাওয়া এবং রাস্তা বন্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কৃষক ও গ্রামবাসীদের জন্য এই বৃষ্টি আশীর্বাদ আবার অভিশাপও হতে পারে, কারণ হঠাৎ বন্যার কারণে মাঠ ও ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
প্রশাসন নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। ভিলওয়ারা জেলার শাহপুরায় রবিবার একটি গাড়ি প্রবল স্রোতে ভেসে যায়, যাতে একজন যুবক মারা যায়। অন্যদিকে, পালি জেলায় গণপতি বিসর্জনের সময় বান্ডি নদীতে দুই যুবক ভেসে যায়। এই ধরনের ঘটনা বৃষ্টির গুরুতর প্রভাব নির্দেশ করে।
এই বছর বর্ষার সময় রাজস্থানের অনেক জেলায় অকাল মৃত্যুও হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রবল বৃষ্টির সময় নদী এবং সেতুর কাছাকাছি যাওয়া এড়ানো উচিত। প্রশাসন সতর্ক করেছে যে মানুষকে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিতে হবে।