নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে Gen-Z তরুণদের সংসদ ভবন ঘেরাও, কাঁদানো গ্যাসে ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভ

নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে Gen-Z তরুণদের সংসদ ভবন ঘেরাও, কাঁদানো গ্যাসে ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভ

নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে Gen-Z তরুণরা সংসদে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাল। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানো গ্যাস ও জল ব্যবহার করে। তরুণরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট।

Nepal Protest: নেপালে তরুণ প্রজন্ম অর্থাৎ Gen-Z, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডু সহ অন্যান্য শহরগুলিতে হাজার হাজার তরুণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। তরুণদের ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে তরুণরা বিশেষ করে Facebook, Instagram, YouTube, WhatsApp, Reddit এবং X-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলি ব্যবহার করতে পারছে না। এই কারণেই তারা সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সংসদ ভবন পর্যন্ত মিছিল করে।

সংসদে হামলা, পুলিশের ব্যবস্থা

বিক্ষোভকারীরা প্রথমে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তরুণরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এবং গেট টপকে নিউ বাनेश्वर স্থিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদ চত্বরে ঢুকে পড়ে।

পুলিশ তাদের আটকাতে কাঁদানো গ্যাস এবং জল ছোঁড়ার ব্যবহার করে। তবে এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বিক্ষোভকারী আহতও হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিক্ষোভকারীরা প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিল, কিন্তু যখন পুলিশ তাদের থামাতে বলপ্রয়োগ করে, তখন তরুণদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়।

নিষেধাজ্ঞা আরোপিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম

নেপাল সরকার ৪ সেপ্টেম্বর ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার মধ্যে প্রধান অ্যাপগুলি অন্তর্ভুক্ত:

  • Facebook
  • Instagram
  • YouTube
  • WhatsApp
  • Reddit
  • X

সরকার দাবি করেছে যে এই পদক্ষেপ "জাতীয় সুরক্ষা" এবং "জনসাধারণের সুরক্ষা"র জন্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম এটিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার (freedom of expression) উপর আক্রমণ হিসেবে দেখছে।

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ

Nepal-এ বিশেষ করে Gen-Z-কে ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত বলে মনে করা হয়। এই তরুণরা Facebook, Instagram এবং YouTube-এর মতো প্ল্যাটফর্মে তাদের মতামত প্রকাশ করে এবং খবর পায়।

সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার পর তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। তাদের মনে হচ্ছে সরকার তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছে। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভed প্রতিবাদের অংশ নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির অবস্থান

প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির সরকার সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞাকে জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে জরুরি বলে উল্লেখ করেছে। তিনি বলেছেন যে কিছু প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্য (misinformation) এবং গুজবের কারণে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। তবে সমালোচকরা এটিকে গণতন্ত্র (democracy) এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। বিরোধী দলগুলিও তরুণ বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছে।

Leave a comment